সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুশান্তের মৃত্যুর রহস্য কি মাদক চক্রের ঘেরাটোপেই লুকিয়ে? উত্তর খুঁজছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সিবিআই, ইডির পাশাপাশি এবার সুশান্ত (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু তদন্তে জোর কদমে নেমে পড়ল এনসিবি। শুক্রবার সাতসকালে তল্লাশির জন্য রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) মুম্বইয়ের বাড়িতে হানা দিল নারকোটিক্স বিভাগের এক টিম। অন্যদিকে, সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতেও আরেকটি টিম পৌঁছবে বলে জানা গিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে।
তাহলে কি বিপদ ঘনিয়ে এল রিয়া এবং তাঁর ভাই সৌভিকের? নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শুধুমাত্র তদন্তের খাতিরেই রিয়া ও সৌভিক চক্রবর্তী এবং স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে। উল্লেখ্য, এই স্যামুয়েলকেই গতবছর মে মাসে সুশান্তের বাড়ির ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন রিয়া। সৌভিক এবং রিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক যে বেশ ভাল ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাটের সূত্র ধরে তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। এমনকী, সৌভিক ও স্যামুয়েলের সঙ্গে মাদক কারবারীদের রীতিমতো ভাল যোগাযোগ ছিল বলেও জানা গিয়েছে। সুশান্তকাণ্ডে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও মাদকচক্রে জড়িত থাকার কারণে যে বেশ ভুগতে হতে পারে রিয়া ও তাঁর ভাই-সহ স্যামুয়েলকে, তা সাফ বোঝা যাচ্ছে।
সুশান্ত মামলায় মাদক কাণ্ডে ধৃত আবদুল বসিত, জায়েদ ভিলাত্রাকে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেপাজতে নিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। মাদককাণ্ডে ধৃত এই দুজনকেই বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়। জানা যাচ্ছে, জেরার মুখে তারা দুজনেই সৌভিক চক্রবর্তী ও মিরান্ডার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। এমনকী, সুশান্তের মৃত্যুর ৩ দিনের মাথাতেও নাকি ওই দুজনের নির্দেশে ধৃতদের মধ্যে একজন ১০ গ্রাম মাদক পৌঁছে দিয়েছিলেন কোথাও। ফোন নম্বর লোকেশন ট্র্যাক করেও সেই প্রমাণ মিলেছে।
[আরও পড়ুন: ‘ড্যাড’-এর জন্য মাদক চাই! রিয়ার ভাইয়ের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য]
প্রসঙ্গত, মাদকচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফে। যার রেশ ধরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ জনকে। এবার মাদক কারবারী ফারুক বাটাটার খোঁজে এনসিবি। কিন্তু এসবের মাঝেই রিয়ার (Rhea Chakraborty) ভাই সৌভিকের এক চ্যাট জোর শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে সৌভিককে মাদক কারবারীকে বলতে দেখা গিয়েছে যে, “বুম দরকার ভাই, ড্যাড-এর দরকার… ও বোঝেইনি যে ওর স্টক শেষ গয়ে গিয়েছে..!” এই কথপোকথনে ‘ড্যাড’ বলে কাকে সম্বোধন করতে চেয়েছেন সৌভিক? সেই সন্দেহে ভর করেই রহস্য দানা বাঁধছে। এই মাদক কারবারীদের সঙ্গে ভাইবোনের এত ঘন ঘন কথা, যোগাযোগ রাখাকেই সন্দেহের চোখে দেখছেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর গোয়েন্দা আধিকারিকরা। আর তদন্তের সুবাদেই শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিল নারকোটিক্স বিভাগের এক টিম।
সূত্রের খবর, আগামী শনিবার ফের ইডির অফিসে হাজিরা দিতে হবে সৌভিককে। উপরন্তু নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আতস কাচও রিয়ার ভাইয়ের উপর।
[আরও পড়ুন: দুই অভিনেতার দ্বৈরথ! রণবীর সিংকে ছেঁটে ‘বৈজু বাওরা’ ছবিতে রণবীর কাপুরকে নিচ্ছেন বনশালি?]
The post সাতসকালে রিয়ার বাড়িতে NCB টিমের তল্লাশি, মাদক চক্রের ঘেরাটোপেই লুকিয়ে সুশান্ত মৃত্যুরহস্য? appeared first on Sangbad Pratidin.