সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলকে ‘শক্তিশালী’ করার লক্ষ্যে দেশজুড়ে ‘মাইক্রো ডোনেশন’ অভিযান শুরু করল বিজেপি। এই অভিযানের বিজ্ঞাপনে আবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ইতিমধ্যেই ব্যক্তিগতভাবে দলের তহবিলে এক হাজার টাকা অনুদান করেছেন মোদি। সেই সঙ্গে গোটা দেশের কাছে তাঁর অনুরোধ, ‘বিজেপি তথা দেশকে শক্তিশালী করতে অনুদান করুন।’
শনিবার এক টুইটে মোদি জানিয়েছেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির পার্টি ফান্ডে (Party Fund) ১০০০ টাকা অনুদান করলাম। আপনারাও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুদান করুন। বিজেপিকে শক্তিশালী করুণ। এতে দেশ শক্তিশালী হবে। আমরা সবসময় দেশকে প্রধান্য দিই। আমাদের ক্যাডারদের আজীবন আত্মত্যাগের আদর্শ আরও শক্তিশালী হবে।” এই টুইটের সঙ্গে পার্টি ফান্ডে টাকা জমা দেওয়ার একটি রশিদও পোস্ট করেছেন মোদি। যাতে আবার আলাদা করে উল্লেখ করা আছে, এই তহবিলে টাকা জমা দিলে তা আয়করের অধীনে পড়বে না।
[আরও পড়ুন: ‘এখন পিছিয়েছি, পরে এগোব’, বিতর্কিত কৃষি আইন ফের আনার ইঙ্গিত কৃষিমন্ত্রীর]
মজার কথা হল প্রধানমন্ত্রী যে দলের হয়ে অনুদান চাইলেন, সেই বিজেপি বিগত কয়েক বছর ধরেই দেশের সবচেয়ে ধনী রাজনৈতিক দলের তকমা পেয়ে আসছে। শিল্পপতিদের কর্পোরেট চাঁদা থেকে শুরু করে ইলেক্টোরাল বন্ড সবেতেই অন্য সব রাজনৈতিক দলের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে বিজেপি (BJP)। এর আগে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে টাকার জোরে নির্বাচন জেতার মতো অভিযোগও উঠেছে। সেই দল এবার সাধারণ নাগরিকদের কাছেও চাঁদা চাইছে। তাও আবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে ব্যবহার করে।
[আরও পড়ুন: ‘ভাগ্যিস সান্টা স্লেজগাড়ি চালাচ্ছে, পেট্রল ভরতে হয় না’, বড়দিনেও কেন্দ্রকে খোঁচা কংগ্রেসের]
বলে রাখা দরকার, বিজেপির এই মাইক্রো ডোনেশন ক্যাম্পেন (Micro Donation Camp) চলবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পণ্ডিত দীন দয়াল উপাধ্যায়ের মৃত্যু দিবস পর্যন্ত। ৫ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান করতে পারবেন সাধারণ নাগরিকরা। যার সূচনা করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে দলের জন্য ‘চাঁদা’ চাওয়া হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেন।