shono
Advertisement

মায়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে নওয়াজ শরিফকে চিঠি মোদির! কূটনৈতিক মহলে জল্পনা

নওয়াজের মেয়ে মারিয়মের হাতে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে ওই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
Posted: 08:48 AM Dec 18, 2020Updated: 08:48 AM Dec 18, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা যখন চরমে, ইমরান সরকারের সঙ্গে সমস্তরকম কূটনৈতিক আদানপ্রদান যখন বন্ধ, ঠিক তখনই সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। নেহাতই সৌজন্যমূলক সেই চিঠিতে মোদি নওয়াজের মায়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মাত্র। কিন্তু সেটা নিয়েই কুটনৈতিক মহলে জল্পনা চরমে।

Advertisement

গত মাসেই লন্ডনে নওয়াজ শরিফের (Nawaz Sharif) মায়ের মৃত্যু হয়। পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে গত মাসেই চিঠি লিখেছেন মোদি। যে চিঠি ভারতের হাই কমিশনের তরফে গত সপ্তাহেই প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে মারিয়ম নওয়াজের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছেন। ২৭ নভেম্বর লেখা ওই চিঠিতে মোদি বলছেন,”প্রিয় মিয়াঁ সাহেব, গত ২২ নভেম্বর আপনার মায়ের মৃত্যু হয়েছে জেনে আমি ভীষণভাবে শোকাহত। এই কঠিন সময়ে আপনার প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, এই কঠিন সময়ে তিনি যেন আপনার পরিবারকে দুঃখ সহন করার শক্তি দেন।” শুধু নওয়াজকে নয়, তাঁর কন্যা তথা পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়ম নওয়াজকেও আলাদা করে চিঠি লেখেন মোদি।

[আরও পড়ুন: ISIS জঙ্গিদের হয়ে কাজ করার ফল, ৭ বছরের কারাদণ্ড তামিলনাড়ুর ইঞ্জিনিয়ারের]

নওয়াজ শরিফ এই মুহূর্তে লন্ডনে। একাধিক মামলার গেরোয় পড়ে পাকিস্তানে ফেরা তাঁর পক্ষে দুষ্কর। কিন্তু তা হলে কী হবে? পাকিস্তানের সব বিরোধী দল মিলে ইমরান (Imran Khan) সরকারের বিরুদ্ধে যে জোট তৈরি করেছে, তাতে বড় ভূমিকা রয়েছে সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের। লন্ডনে থেকেও নিজের মেয়ে মারিয়মের মাধ্যমে বকলমে সরকার বিরোধী আন্দোলন পরিচালনা করছেন নওয়াজ। এই পরিস্থিতিতে নওয়াজকে মোদির চিঠি কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। মোদি আসলে বুঝিয়ে দিলেন, ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যতই তিক্ত হোক না কেন, নওয়াজের সঙ্গে মোটেই ততটা খারাপ সম্পর্ক তাঁর নয়।

[আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা যোগী সরকারের, কাফিল খানের নামে দেশদ্রোহিতার মামলা নয়, ‘সুপ্রিম’ রায়]

প্রসঙ্গত, নওয়াজের সঙ্গে মোদির সম্পর্ক যে ভাল, সে নিদর্শন আগেও মিলেছে। ২০১৫ সালে অর্থাৎ ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যে হঠাতই নওয়াজের নাতনির বিয়ে উপলক্ষ্যে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন মোদি। এক দশক পরে সেই প্রথম পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখেন ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী। তার পাঁচ বছর পর পাকিস্তানের বিরোধী নেতাকে মোদির এই চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement