সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঐতিহাসিক জয় হাসিল হয়েছে ত্রিপুরাতে। ভারতীয় রাজনীতিতে বড় পালাবাদল। শূন্য থেকে শিখরে। এহেন সাফল্যের মুহূর্তেও অন্যের ধর্মাচরণে বাধা দিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজানের শব্দ শুনেই থামিয়ে দিলেন বিজয় বক্তৃতা।
[ পিএনবি কর্তাকে হীরের গয়না ঘুষ নীরবের, খোঁজ পেল সিবিআই ]
দিল্লিতে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন মোদি। উঠে আসছিল ত্রিপুরার বিজয়ের সাফল্যগাথা। তার ঠিক আগেই বক্তৃতা করেছেন দলের সেনাপতি অমিত শাহ। সে রেশ ছড়িয়ে আছে সমর্থকদের মধ্যে। এরপর মোদি বলতে উঠে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই অনুগামীদের মন মজাতে শুরু করেছিলেন। বক্তৃতা যখন সবে মিনিটখানেক গড়িয়েছে, আচমকাই ভেসে আসে আজানের শব্দ। তা কানে যাওয়া মাত্র বক্তৃতা থামিয়ে দেন মোদি। আজান শেষ হওয়ার পর তিনি বলে ওঠেন, ভারত মাতা কি জয়। অনুগামীরাও তাই বলেন। এপরপর ফের বক্তৃতা শুরু করেন তিনি।
[ গেরুয়া বাড়ন্ত, অগত্যা লাল আবির মেখে বিজয় উৎসব ত্রিপুরা বিজেপির ]
এই অবশ্য প্রথমবার নয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসেও একই কাজ করেছিলেন তিনি। সামগ্রিকভাবে ইসলাম বিরোধী বলে গেরুয়া শিবিরের ঘোর বদনাম আছে। কিন্তু সেদিন মোদির এই শিষ্টতা এক লহমায় অনেকের মন জয় করে নিয়েছিল। তখনও তিনি প্রধানমন্ত্রী হননি। তখন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিতে শান দিয়েছেন মোদি। সম্প্রতি গুজরাট ভোটের সময়ও মোদি আজান চলাকালীন নিজের বক্তৃতা থামিয়ে দিয়েছিলেন। প্রতিবারই তিনি বলেছিলেন, কারও ধর্মাচরণে তিনি বাধা দিতে চান না। তাই যতবার এই পরিস্থিতি উদ্ভব হয়, ততবার নিজে থেমে গিয়েই সহিষ্ণুতার বার্তা দেন।
[ নজরকাড়া সাফল্য, চা বিক্রি করেই মাসে উপার্জন ১২ লক্ষ টাকা ]
তবে এদিন বক্তৃতা দেওয়ার সময় আরও একবার থামেন মোদি। ত্রিপুরা, কেরল ও অন্যান্য রাজ্যে যে গেরুয়া সমর্থকরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ক্ষণিক বিরতি পালন করেন মোদি। সাধারণ জওয়ানদের জন্য এ ধরনের নীরবতা পালন করা হয়। মোদি বুঝিয়ে দিলেন তাঁর দলের সমর্থকরাও আসলে সৈনিক।
The post চলছে আজান, ত্রিপুরাজয়ের উল্লাসেও বক্তৃতা থামালেন মোদি appeared first on Sangbad Pratidin.