নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বুলবুলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলার তিন জেলার। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার সকালে একটি টুইটে সেকথা জানান প্রধানমন্ত্রী। সকলের সুস্থতাও কামনা করেন তিনি।
পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকে তাণ্ডব চালিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া এলাকা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হাওড়ার প্রত্যন্ত এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙেছে কাঁচাবাড়ি। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় বহু জায়গায় ব্যাহত পরিষেবা। বকখালি, নামখানায় ভেঙে গিয়েছে জেটিও। বাধ্য হয়ে ঘরছাড়া হয়েছেন অনেকেই। তাঁরা প্রায় সকলেই আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। ইতিমধ্যে ব্যাপক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রাণহানিও হয়েছে পাঁচজনের।
পরিস্থিতির দিকে প্রায় ২৪ ঘণ্টাই নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার সন্ধে থেকে কন্ট্রোল রুমে বসে ঘূর্ণিঝড় কবলিত রাজ্যের পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন তিনি। রবিবার সকালে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি টুইট করেন তিনি। তাতেই মোদি লেখেন, “ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আছড়ে পড়েছে বাংলায়। পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে রাজ্যের। বুলবুল বিধ্বস্ত রাজ্যের পাশে রয়েছে কেন্দ্র। আমি প্রার্থনা করি সকলে ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।” সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের ‘দুর্দান্ত’ ড্রোন উড়িয়ে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নটি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথাও বলেছেন মুখ্যসচিব। কেন্দ্রের কাছে রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বুলবুলের দাপট কাটলেই বঙ্গে দেখা মিলবে শীতের? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]
বুলবুলের আগে এ রাজ্যে থাবা বসিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ফণী। সেই সময়ও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সে সময় দু’জনের ফোনে কথা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির থেকে বাংলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সংক্রান্ত খোঁজখবর নেন মোদি। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই সংঘাতে জড়ায় রাজ্য-কেন্দ্র। তবে বুলবুলের পর সেই ঘটনা পুনরাবৃত্তি হয়নি। পরিবর্তে কথা হয় দুই প্রশাসনিক প্রধানের।
The post বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার পাশে কেন্দ্র, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.