সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদকে এখনও ঠিকমতো চিনতে পারেনি মানুষ। অনেক কিছুই অনাবিষ্কৃত রয়ে গিয়েছে। সেগুলি আবিষ্কার করতে চাই গবেষণা। আর সেই কারণেই এবার চাঁদে একটি স্থায়ী বেস ক্যাম্প বানাতে চায় নাসা। সেখানে বিজ্ঞানীরা গিয়ে গবেষণা চালাবেন। তার তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর মানুষ যাওয়া মানেই রেচন তো হবেই। তাই এবার চাঁদে শৌচাগার তৈরির পরিকল্পনা করেছে নাসা।
শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি আদ্যোপান্ত সত্যি। এমনকী এ নিয়ে নাসার তরফে একটি চ্যালেঞ্জ আনা হয়েছে। নাসার এই নতুন চ্যালেঞ্জের নাম ‘লুনার লু’। চাঁদের শৌচাগার নির্মাণের জন্য জনসাধারণের সাহায্য চেয়েছে নাসা। উপায় বাতলে দিতে পারলেই মিলবে নগদ পুরস্কার। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এমন একটি শৌচাগারের মডেল বানাতে হবে যা শুধু মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে কাজে আসবে এমন নয়। লুনার গ্র্যাভিটিতেও যেন তা কাজে আসে। এমন একটি দুর্দান্ত টয়লেট বানাতে পারলে মিলবে ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। নাসা এই প্রতিযোগিতার জন্য ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
[ আরও পড়ুন: চন্দ্রপৃষ্ঠে ‘সফট ল্যান্ডিং’ করবে ISRO’র ল্যান্ডার, ভবিষ্যতের মডেল বানাচ্ছেন যাদবপুরের গবেষকরা ]
এই চ্যালেঞ্জের জন্য নাসা হিরাক্সের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। নাসা ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে একটি বেস ক্যাম্পের পরিকল্পনা করছে। তার জন্যই এই তোড়জোড়। চাঁদের অভিকর্ষ পৃথিবীর এক ষষ্ঠাংশ হওয়ায় শৌচকার্য এখানে খুব সহজ নয়। মহাকাশেও এই সমস্যা রয়েছে। এরাই একটা সমাধান চাইছে নাসা। তবে এই শৌচাগার নির্মাণের কিছু নিয়ম রয়েছে। এটি কোনওভাবেই ০.১২ ঘনমিটারের (৪.২ কিউবিক ফুট) বেশি জায়গা দখল করতে পারবে না। আর এক শব্দের মাত্রা থাকতে হবে ৬০ ডেসিবেলের মধ্যে। এটি যেন একসঙ্গে এক লিটার মূত্র ও ৫০০ গ্রাম মল ধারণ করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি প্রতিদিন ১১৪ গ্রাম মেনস্ট্রুয়াল ব্লাডও যেন ধারণ করতে পার এই শৌচাগারটি। এছাড়া কারওর বমি পেলেও যেন তার বন্দোবস্ত থাকে এখানে। যেহেতু একাধিক নভোশ্চর এটি ব্যবহার করবেন, তাই টয়লেটটি পরিষ্কার থাকতে হবে। এগুলিও যেন ডিজাইনের অন্তর্ভূক্ত থাকে।
[ আরও পড়ুন: ২ বছর ধরে ডাল লেক সাফাইয়ের সম্মান, কাশ্মীরি কন্যার গল্প এবার পাঠ্যবইয়ে ]
The post চাঁদে শৌচাগার বানাতে নকশা চাইছে নাসা, মডেল পছন্দ হলে রয়েছে নগদ পুরস্কার appeared first on Sangbad Pratidin.