সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা টিকার জোড়া ডোজের পর প্রিকশন ডোজও নেওয়া হয়ে গিয়েছে? তাহলে আর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে না ন্যাজাল ভ্যাকসিন। এমনটাই জানাল কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান।
ডা. এনকে আরোরা জানান, “শুধুমাত্র প্রথম বুস্টার ডোজ হিসেবেই ব্যবহার করা যাবে ন্যাজাল ভ্যাকসিন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, কোনও ব্যক্তি যদি প্রিকশন ডোজ নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর এই বুস্টার ডোজ না নেওয়াই উচিত। যাঁরা এখনও পর্যন্ত প্রিকশন ডোজ নেননি, তাঁদেরই ন্যাজাল ভ্যাকসিন (Nasal Vaccine) নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের উদ্বোধনে মোদি-মমতা, ৩৬ ঘণ্টা আগেই বন্ধ হাওড়ার তিন প্ল্যাটফর্ম]
চিনে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট (Corona Variant)। কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে ভারত। সংক্রমণ রুখতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। পাশপাশি বুস্টার ডোজ হিসেবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে। মঙ্গলবার কেন্দ্র সরকারের তরফে এই টিকার দামও ঘোষণা করা হয়। জানানো হয়, বেসরকারি হাসপাতালে ৮০০ টাকার (জিএসটি বাদ দিয়ে) বিনিময়ে পাওয়া যাবে এই ভ্যাকসিন (COVID Vaccine)। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেকেই এই টিকা বুস্টার হিসেবে নিতে পারবেন। যাঁরা কোভ্যাক্সিন কিংবা কোভিশিল্ডের জোড়া ডোজ নিয়েছেন, তাঁদেরই এই বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেকে প্রিকশন ডোজ নেওয়ার পরও ন্যাজাল ভ্যাকসিন নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সেই কারণেই টাস্ক ফোর্সের তরফে সতর্ক করা হল।
এদিকে, কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে মোকাবিলায় ভারতীয় মেডিক্যাল সংস্থার (IMA) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। সেখানে বিশেষজ্ঞদের কাছে বিশেষ আরজি জানান তিনি। মারণ ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সাধারণ মানুষ যাতে জোড়া বুস্টার ডোজ নিতে পারেন, তার অনুমতি চান মাণ্ডব্য। বিশেষ করে চিকিৎসা কর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য চতুর্থ ডোজ দেওয়ার অনুমতি চান মাণ্ডব্য। যদিও এ নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।