সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তাহলে অন্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কেন নয়? দীর্ঘদিন বাদে সংসদে বক্তব্য রাখতে এসে ফের কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুললেন ন্যাশনাল কনফারেন্স সাংসদ ফারুক আবদুল্লাহ(Farooq Abdullah) । তাঁর বক্তব্য, সীমান্তে দিন দিন অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, আর এই অশান্তি মেটানোর একটাই পথ আলোচনা। আসলে আবদুল্লাহ চাইছেন, চিনের মতো পাকিস্তানের সঙ্গেও আলোচনা করুক ভারত সরকার। কাশ্মীর (Kashmir) সীমান্ত নিয়ে যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হোক আলোচনার মাধ্যমে।
গতবছর পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে ভারতের প্রায় সমস্তরকম কূটনৈতিক আদানপ্রদান বন্ধ। বরং, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরের বিরোধিতাই করে আসছে এই দুই দেশ। আর তাছাড়া, পাকিস্তান আগের মতোই কাশ্মীর তথা ভারতের অন্দরে জঙ্গি কার্যকলাপে উৎসাহ দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করছে। এদিকে গত মার্চ মাস থেকে চিন সীমান্তেও রীতিমতো যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই মুহূর্তে জোড়া শত্রুর বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে ভারতীয় সেনাকে। শনিবার সংসদে এসব নিয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে আবদুল্লাহ বলছিলেন,”দিন দিন সীমান্তে অশান্তি বেড়েই চলেছে। মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। আমরা যেভাবে চিনের সঙ্গে কথা বলে ওদের লাদাখ থেকে সরানোর চেষ্টা করছি, আমার মনে হয় আমাদের অন্য প্রতিবেশীর (পড়ুন পাকিস্তান) সঙ্গেও আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা উচিত।”
[আরও পড়ুন: সম্মিলিত চেষ্টাতেও আটকাতে পারল না বিরোধীরা, রাজ্যসভায় পাশ জোড়া কৃষি বিল]
আবদুল্লাহ যে এই প্রথমবার পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করার পক্ষে সওয়াল করলেন সেটা কিন্তু নয়। এর আগে একাধিকবার পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। আসলে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে, ‘পাকিস্তানের সাহায্য ছাড়া কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’ কিন্তু প্রশ্ন হল, যে পরিস্থিতিতে আবদুল্লাহ পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলছেন, সেটা কি আদৌ আলোচনার মতো?।
[আরও পড়ুন: শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী ছাঁটাই করতে আর সরকারি অনুমতি লাগবে না, প্রস্তাব কেন্দ্রের]
এদিকে শনিবার সংসদে বলতে গিয়ে আরও একটা বিষয়ে আলোকপাত করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স সাংসদ। গত ১৮ জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সোপিয়ানে তিনজন জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল বলে দাবি করে সেনা। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, ওই সংঘর্ষ ভুয়ো (Fake Encounter), সাজানো। তা নিয়ে তদন্তের পর লড়াইয়ে জড়িত জওয়ানদের অভিযুক্ত করেছে সেনা কর্তৃপক্ষ (Indian Army)। অভিযুক্ত সেনা জওয়ানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আবদুল্লাহ শনিবার সংসদে বলেন, সেনার এই পদক্ষেপে তিনি খুশি। অন্তত নিজেদের ভুল তো স্বীকার করেছে। এবার সরকারের উচিত ওই মৃতদের পরিবারকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
The post ‘চিনের মতো অন্য প্রতিবেশীর সঙ্গেও আলোচনা হোক’, ফের ‘পাক প্রীতি’ ফারুক আবদুল্লাহর! appeared first on Sangbad Pratidin.