সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ের (Palghar) পালঘরে নৃশংস ভাবে পুড়িয়ে মারা হল নৌবাহিনীর (Navy) এক জওয়ানকে। তাঁর শরীরের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছিল। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় ২৭ বছরের ওই জওয়ানের। গত ৩০ জানুয়ারি তাঁকে অপহরণ (Abduction) করা হয়েছিল চেন্নাই থেকে। নিহত জওয়ানের নাম সুরজকুমার মিথিলেশ দুবে।
মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে সুরজ জানিয়েছেন, তিনি ছুটিতে তাঁর রাঁচির বাড়িতে গিয়েছিলেন। গত ৩০ জানুয়ারি ফের কাজে ফিরছিলেন। তখনই তাঁকে বিমানবন্দরের সামনে থেকে বন্দুক দেখিয়ে অপহরণ করে তিনজন। অপহরণকারীরা তাঁর পরিবারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। পুলিশের ধারণা, জওয়ানের পরিবারের তরফে টাকা দিতে অস্বীকার করা হয়। এরপরই সুরজকে পালঘরের নির্জন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তাঁকে আইএনএস অশ্বিনী হাসপাতালে ভরতি করে। সেখানেই মারা যান সুরজ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই খুন ও অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন : সন্ত্রাসে মদতের দায়ে হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল দিল্লির আদালত]
পুলিশ জানতে পেরেছে, তিনদিন সুরজকে চেন্নাইয়েই রেখে দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে তাঁকে পালঘরে নিয়ে আসা হয়। গত শুক্রবার তাঁর হাত-পা বেঁধে জঙ্গলে এনে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে সেই অবস্থায় রেখেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। অসহায় সুরজ অবশ্য নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তিনি ওই অবস্থাতেই ছুটতে ছুটতে লোকালয়ের কাছে আসেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন তিনি। সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। ছেলের মৃত্যুতে শোকার্ত বাবা মিথিলেশ দুবের আরজি, তাঁর সন্তানের খুনিরা যেন শাস্তি পায়। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানিয়েছেন, ”আমি আমার ছেলের জন্য ন্যায় চাই। এই বার্তা আমি মিডিয়ার মাধ্যমে পৌঁছে দিতে চাই।”