সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনছেন তাঁর স্ত্রী আলিয়া। সম্প্রতি নওয়াজের সম্পর্কে অভিযোগ তুলে আলিয়া বলেছেন, নওয়াজ তাঁকে ও মেয়েকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। খেতেও নাকি দিতেন না! তবে স্ত্রীয়ের এই অভিযোগকে একেবারেই নসাৎ করেছেন নওয়াজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নওয়াজ সম্প্রতি জানিয়েছেন, আলিয়া তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছেন।
নওয়াজ লিখেছেন, ”আমাকে এখন সবাই খলনায়ক ভাবছে। কারণ, আমি চুপ করে রয়েছি। আমার এই চুপ করে থাকাটা মোটেই আমার দুর্বলতা নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকরকম ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক ভিডিওই মিথ্যে। জোর করে বিতর্ক তুলে ধরা হচ্ছে।”
নওয়াজের কথায়, ”আমি আর আলিয়া বহুদিন ধরেই আলাদা থাকি। এটা নতুন কিছু নয়। আমাদের বিবাহবিচ্ছেদও হয়ে গিয়েছে। সন্তানরা সেটা জানে। প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা খোরপোশ দিই আমি। তবুও আমার কাছে আরও অর্থ চাইছে আলিয়া। এই টাকা পাওয়ার জন্য়ই নানা ভাবে আমাকে ব্ল্য়াকমেল করে চলেছে।”
এই বিষয়ে নওয়াজ পাশে পেলেন কঙ্গনা রানাউতকে। কঙ্গনা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘আমি খুব খুশি যে তুমি নীরবতা ভাঙলে। সব সময় চুপ থাকলে সমস্য়ার সমাধান হয় না।’
[আরও পড়ুন: ‘ভোলা’র ট্রেলারে জমজমাট অ্যাকশন, অজয়-তাব্বুর যুগলবন্দিতে মুগ্ধ নেটিজেনরা ]
ব্যক্তিগত জীবনের জটিলতার জন্য খবরের শিরোনামে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। এবার অভিনেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পরিচারিকা। নওয়াজের জন্যই দুবাইয়ে আটকে রয়েছেন তিনি। জুটছে না খাওয়াদাওয়াও।
নওয়াজের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আলিয়ার সম্পর্কের তিক্ততা এখন সকলেই জেনে গিয়েছেন। সম্প্রতি আলিয়ার বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নওয়াজউদ্দিনের মা মেহেরুন্নিসা সিদ্দিকি। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই একটি সম্পত্তির অধিকার নিয়ে আইনি বিবাদ চলছিল শাশুড়ি-বউমার। তাই নিয়েই চরমে পৌঁছায় ঝামেলা। তারই মধ্যে আবার দ্বিতীয় সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন নওয়াজ ঘরনি আলিয়া। দাবি, ছোট ছেলেকে নিজের সন্তান বলে মানতে নারাজ অভিনেতা। এইসবের মাঝেই এবার পরিচারিকার একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ নওয়াজ। এবার সেই বিতর্ক নিয়েই মুখ খুললেন নওয়াজ।
প্রসঙ্গত, আলিয়ার আইনজীবীই নওয়াজের পরিচারিকা স্বপ্না রবিন মাসির সমর্থনে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, কাঁদতে কাঁদতে নিজের দুর্দশার কথা জানাচ্ছেন স্বপ্না। বলেন, নওয়াজের জন্য দুবাইয়ে আটকে পড়েছেন তিনি। তাঁকে বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী ঠিকমতো খাওয়াদাওয়াও পাচ্ছেন না।