বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও দেবব্রত মণ্ডল:‘হোয়াটসআপ চ্যাট’ও ভিডিও বার্তার পর এবার নিরাপত্তা বিতর্ক। ফের প্রকাশ্যে আইএসএফ ও বিজেপি আঁতাত। চটজলদি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেই বিজেপি বিধায়কদের মতোই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকবেন রাজ্যের একমাত্র বাম সমর্থিত আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ। এদিকে ভাঙড়ে অশান্তির পর রাজ্যের তরফে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পেতে পারেন বিধায়ক শওকত মোল্লা।
গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সুপারিশেই তড়িঘড়ি নৌশাদকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয় বলে সূত্রের খবর। এরফলে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি ও আইএসএফ জোট আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। শনিবার আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকীর একটি ভিডিও দেখিয়া সাড়া ফেলে দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যেখানে আব্বাসকে বলতে শোনা যায় “আমরা যাঁরা বিজেপিকে ভালবাসি”। এরপর ২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৎকালীন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীর সঙ্গে ‘হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট’দেখান কুণাল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যে তলায় তলায় বাম, বিজেপি, কংগ্রেস ও আইএসএফ যে জোট করে চলছে তা ফাঁস হতেই অস্বস্তিতে পড়ে রামধনু জোটের নেতারা।
[আরও পড়ুন: 'বিজেপির ইডি-সিবিআই-টাকা আছে, আমাদের সঙ্গে জনতা', বড় লড়াইয়ের ডাক অভিষেকের]
সাধারনত নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি দেখভাল করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। নওশাদ অমিত শাহকে (Amit Shah) নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি লিখতেই তিনি সটান তা তাঁর ডেপুটির কাছে পাঠিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, এরপরই মন্ত্রকের আধিকারিকরা প্রথমে শাহর আরেক ডেপুটি নিশীথ প্রামানিকের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেন। এরপরই ওই আধিকারিক রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষনেতার সঙ্গে আলোচনা করেন। দু’জনেই নওশাদকে নিরাপত্তা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন বলে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে বিষয়টি ঝুলিয়ে না রাখারও আবেদন করেন। রাজ্য বিজেপির তরফে সবুজ সংকেত মিলতেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে তৎপর হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকরা।
এদিকে ভাঙড় কাণ্ডের পর রাজ্য শওকত মোল্লাকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, রবিবার ১২ জন তাঁর বাড়ি পরিদর্শনও করেছেন। তবে বিধায়ক এ সংক্রান্ত কোনও চিঠি হাতে পেয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।