সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদক কাণ্ডে শাহরুখপুত্র আরিয়ানকে গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে বোমা ফাটালেন শরদ পাওয়ারের দল তথা মহারাষ্ট্রে উদ্ধব সরকারের সহযোগী ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র নবাব মালিক। তাঁর দাবি, বিজেপি এবং এনসিবির যোগসাজশের জেরেই শাহরুখপুত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার এবং বলিউডের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই চক্রান্ত করা হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসা কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন পরমব্রত, সঙ্গী শুভশ্রী ও বনি!]
মুম্বইয়ের প্রমোদ তরী কর্ডেলিয়ায় যে মাদক পার্টির আয়োজন হতে পারে, তা আগেই খবর পেয়েছিল এনসিবি। তদন্তকারীদের দাবি, হাই প্রোফাইল অন্তত ৬০০ জন তাতে যোগ দেবেন বলেই জানা ছিল। সেই মতো মুম্বই থেকে গোয়াগামী বিলাসবহুল ক্রুজে যাত্রী সেজে চড়েন এনসিবি (NCB) আধিকারিকরা। মাঝপথেই শুরু হয় মাদক সেবন। সেই সময় এনসিবি হাতেনাতে পাকড়াও করে বেশ কয়েকজনকে। শাহরুখ পুত্র আরিয়ানকে জেরা করা হয়। একটানা জেরার পর প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। আরিয়ান খান ছাড়াও মুনমুন ধামেচা, নুপুর সারিকা, ইসমিত সিং, মোহক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত চোকার, গোমিত চোপড়া, আরবাজ মার্চেন্টকে আটক করা হয়। আরিয়ানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজ। আপাতত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতে আরিয়ান।
এনসিবি’র জেরায় প্রথমে যদিও মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেননি আরিয়ান। পরে যদিও জেরার মুখে ভেঙে পড়েন তিনি। জানান, চার বছর ধরে মাদক নেন শাহরুখপুত্র। দুবাই, লন্ডনে গিয়েও মাদক নিয়েছেন তিনি। এনসিবি আধিকারিকরা আরিয়ানের লেন্সের কৌটো থেকে মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে। এই ঘটনায় ধৃত মুনমুন ধামেচার স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং অন্তর্বাস থেকে প্রচুর পরিমাণ মাদক পেয়েছেন আধিকারিকরা।
এদিকে, শাহরুখের বিপদের দিনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন অনুরাগীরা। ছেলে গ্রেপ্তারির পর বলিউডের অনেকেই কিং খানের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সলমন খান তাঁর বাড়িতে যান। সুনীল শেট্টিও আরিয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছেন।