সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান (Aryan Khan) মাদক মামলায় নতুন মোড়। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই মামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত দুই অফিসার বিশ্ব বিজয় সিং এবং আশিস রঞ্জন প্রসাদকে সাসপেন্ড করল এনসিবি। খবর অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে এই দুই অফিসারের ‘সন্দেহজনক আচরণ’-এর কারণেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই দুই অফিসারের মধ্যে বিজয় সিং ছিলেন তদন্তকারী অফিসার ও আশিস রঞ্জন ছিলেন ডেপুটি। তবে ঠিক কী ধরনের আচরণের কারণে এনসিবি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
গত বছরের ২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজে হানা দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেখান থেকেই আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচাকে আটক করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। পরে আর্থার রোড জেলে রাখা হয় শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ছেলেকে। ২৮ অক্টোবর আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করে বম্বে হাই কোর্ট। তার দু’ দিন পর আর্থার রোড জেল থেকে মন্নতে ফেরেন আরিয়ান। আরিয়ানের পর জামিনে ছাড়া পান আরবাজ ও মুনমুন।
[আরও পড়ুন: সর্ষের মধ্যেই ভূত! সোনম কাপুরের বাড়িতে চুরির ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে মাদক মামলায় আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) বিশেষ তদন্তকারী দল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমসূত্রে প্রকাশ্যে আসে সেই খবর। শোনা যায়, আরিয়ান, মুনমুন, আরবাজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে কোনও অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পাননি এনসিবি-র তদন্তকারী অফিসাররা। আরিয়ানের কাছে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি। এমনকী, কর্ডেলিয়া ক্রুজে যখন নারকোটিক্স কন্ট্রোল অফিসাররা হানা দেন, সে সময়ও আরিয়ান নেশাচ্ছন্ন ছিলেন না। কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ নন শাহরুখপুত্র। অপরাধও করেননি। বিশেষ তদন্তকারী দলের তদন্তে নাকি এমন তথ্যই জানা গিয়েছিল। কিছুদিন আগে আইপিএলের নিলামে কেকেআরের হয়ে যোগ দিয়েছিলেন আরিয়ান। পরে কেকেআরের খেলার সময়ও তাঁকে মাঠে দেখা গিয়েছিল। কয়েকদিন আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আরিয়ান কাণ্ডেক অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেল।