স্টাফ রিপোর্টার: অতিমারীর কারণে দেশজুড়েই বেড়েছে বাল্যবিবাহ (Child Marriage)। স্কুল বন্ধ থাকায় কিশোরীদের উপর নজরদারি সেভাবে চালানো যায়নি। সেই ফাঁক গলে অন্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও কিছুটা বেড়েছে বাল্যবিবাহের ঘটনা। কিন্তু প্রশাসনিক তৎপরতার ছবিটি আরও উজ্জ্বল। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ রাজ্যে ৫০৯৩টি বাল্যবিবাহ ঠেকানো গিয়েছে। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (NCPCR) এমনটাই জানিয়েছে। যদিও ১০৬২ টি বাল্যবিবাহ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে কমিশন। পত্রাঘাত করে দিল্লিতে কমিশনের দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিবকেও।
সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের ডিজি (DG)মনোজ মালব্যকে চিঠি পাঠান জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। সেই চিঠিতেই বলা হয়েছে, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত এ রাজ্যের ২৩ টি জেলায় মোট ৪০০১ টি বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রশাসনের নজরে আসে। এর মধ্যে ২৯৩৯ টি বাল্যবিবাহ ঠেকানো গিয়েছে। যদিও কমিশনের দাবি, যে সব বিয়ে ঠেকানো গিয়েছে, সেগুলি নিয়ে কোনও এফআইআর (FIR) বা ইনজাংশন অর্ডারের কপি পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: শাকিবের বিকল্প কি ঠিক করে ফেলল KKR? ইংরেজ ব্যাটারের নাম নিয়ে জল্পনা]
২০২২ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ২৭৩২ টি বাল্যবিবাহের ঘটনা নজরে আসে। যার মধ্যে ২১৫৪ টি ক্ষেত্রে বিবাহ ঠেকানো গিয়েছে। রাজ্যের বক্তব্য জানতে শিশু ও মহিলা নারী কল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিবকে কমিশনের দিল্লি অফিসে তলব করা হয়েছে। এদিকে, রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়ের দাবি, রাজ্য সরকার বাল্যবিবাহ রোধে যথেষ্ট তৎপর। আগামী ১৯ ও ২০ এপ্রিল নদিয়ায় (Nadia) সমস্ত ‘স্টেকহোল্ডার’-দের নিয়ে বৈঠক করবে কমিশন।