স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ে আর প্রেম। তার সঙ্গে সাংসারিক অশান্তি। এই রাজ্যে আত্মহত্যার (Suicide) জন্য দায়ী এই কারণগুলিই। এ ছাড়াও রয়েছে অসুস্থতা। তবে দারিদ্রের জন্য রাজ্যে কেউ আত্মঘাতী হননি বলেই জানিয়েছে রিপোর্ট। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-র রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য।
স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের এই রিপোর্টে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়টা কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয়েছে। যেখানে লকডাউনের জেরে বিভিন্ন রাজ্য আর্থিক অনটনে (Financial Crisis) আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বহু মানুষ। সেই সময় আর্থিক অনটনে বাংলায় আত্মহত্যার সংখ্যা শূন্য। বেকারত্বের কারণেও মৃত্যু অনেকটা কম।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসার ‘গাফিলতি’তে প্রসূতি ও গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু, এসএসকেএমে তুমুল বিক্ষোভ]
গত বছর লকডাউনে সারা দেশেই বৃদ্ধি পেয়েছে আত্মহত্যার ঘটনা। যদিও এই রাজ্যে ২০১৯ থেকে গত বছর আত্মহত্যার বৃদ্ধির হার অন্যান্য রাজ্যের থেকে অনেকটাই কম। এনসিআরবি (NCRB) রিপোর্ট অনুযায়ী, এই রাজ্যে বিবাহকেন্দ্রিক কারণে এই রাজ্যে আত্মঘাতী হয়েছেন ৩৮৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ১৬৯ ও মহিলা ২২০ জন।
সাংসারিক অশান্তির জন্য যে ২২৩৯ জন আত্মঘাতী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১২৮২ জন পুরুষ ও ৯৫৭ জন মহিলা। আবার অসুস্থতার জন্য ১১০৯ জন আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৭১৩ জন পুরুষ। প্রেমের কারণে গত বছর রাজ্যে আত্মঘাতী হয়েছেন ৫৭৩ জন। তাঁদের মধ্যে ৩০২ জন পুরুষ ও ২৭১ জন মহিলা।
আবার সম্পত্তি নিয়ে গোলমালের জন্য ২২৪ জন আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন মহিলা। আবার ৩৭২৭ জনের আত্মহত্যার ক্ষেত্রে কারণ জানা যায়নি। পেশাগত কারণে রাজ্যে যে আটজন আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই পুরুষ। বেকারত্বের কারণে ৪২ জন আত্মঘাতী, তাঁদের মধ্যে দশজন মহিলা। আবার ১৯ জন পুরুষ মাদকাসক্তও গত বছর আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে আত্মঘাতী হওয়ার সংখ্যা অনেকটাই কম।