গোবিন্দ রায়: আদালত যেন ক্লাসরুম! এজলাসেই বই খুলে কলকাতা পুলিশের আধিকারিককে আইনের পাঠ পড়ালেন বিচারপতি। এক গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের ভরা এজলাস সাক্ষী থাকল এমনই নজিরবিহীন ঘটনার। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্ন, “তদন্ত আইনের পথে হবে, নাকি অভিযুক্তর দেখানো পথে?” আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুলিশই যদি আইনের পথে না চলে, তাহলে সাধারণ মানুষ কী করবে!
আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় আদালতে। জানা গিয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর শ্বশুরবাড়ি থেকে শালিনী মিত্রের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, বাড়ির শৌচালয়ের দরজা ভেঙে বাইরে বের করে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন তাঁর স্বামী সুশান্ত চক্রবর্তী। সেই দৃশ্য শালিনীর দিদিকে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখানো হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, উপযুক্ত ধারায় মামলা রুজু করেনি পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বন্ধ হচ্ছে পেটিএম পরিষেবা! কতদিন করা যাবে লেনদেন?]
এই অভিযোগ শুনে তদন্তকারী আধিকারিককে এজলাসে ডেকে পাঠান বিচারপতি সেনগুপ্ত। মামলায় যথোপযুক্ত ধারা দেওয়া হয়নি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, “তদন্ত আইনের পথে হবে, নাকি অভিযুক্তর দেখানো পথে?” বিচারপতির প্রশ্নে একপ্রকার নিরুত্তর ছিলেন আদালতে উপস্থিত তদন্তকারী আধিকারিক। এর পরই বই খুলে আইনের পাঠ পড়ান বিচারপতি। মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। বিয়ের সাত বছরের মধ্যে পণের দাবিতে অত্যাচার এবং সেই কারণে মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। খুনের ধারা দেয়নি বলেও অভিযোগ।