সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৬২ সালের চিনের আগ্রাসন রুখতে লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে ‘ফরওয়ার্ড পলিসি’ নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। যার জেরে সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের পাঠিয়েছিলেন তিনি। নেহরুর এই নীতিকেই তীব্র কটাক্ষ করলেন লাদাখের বিজেপি সাংসদ জামিয়াং শেরিং নামগিয়াল।
[আরও পড়ুন: অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দিরই হোক, চাইছেন বাবরের বংশধর]
তিনি মনে করছেন, নেহরুর এই নীতিই ‘ব্যাকওয়ার্ড পলিসি’ হয়ে গেল। নেহরুর ব্যর্থ নীতি লাদাখের দুর্ভোগের জন্য দায়ী। নামগিয়াল আরও বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে তোষণের রাজনীতি করলেন নেহরু। আর লাদাখবাসীর ভাগ্যও রক্তাক্ত হল। তোষণ করা হল জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের, কিন্তু ক্ষতবিক্ষত হল লাদাখ।
বিজেপি সাংসদের মতে, চিনের বিরুদ্ধে ‘ফরওয়ার্ড পলিসি’ নিয়ে ভুল সময়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন নেহরু। উলটে চিন লাদাখের অর্ধেক জমি দখল করে আকসাই চিন গঠন করল। ডেমচক সেক্টরে থাবা বসাল বেজিং। ৩৪ বছরের নামগিয়াল আরও বলেন, ‘কংগ্রেসের এতগুলি সরকারের জমানায় লাদাখের সামরিক ও ভৌগলিক গুরুত্বকে বুঝতেই চায়নি দিল্লি। ফলে কংগ্রেসের জমানায় চরম নিরাপত্তার গাফিলতির শিকার হয়েছে লাদাখ। ঘন ঘন লাল ফৌজ অনুপ্রবেশ করে চোখ রাঙিয়ে চলে যায়। নেহরু এবং কংগ্রেস লাদাখের সঙ্গে সঙ্গে গোটা দেশের নিরাপত্তাই বিপন্ন করেছে। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কোনও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা বা বেড়াজাল তৈরির চেষ্টাই কোনওদিন কংগ্রেস করেনি। ফলে ভারতীয় সেনা তাদের আউটপোস্টগুলিকে মজবুত করতে পারেনি। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরই লাদাখ ও এলওসি বরাবর আমাদের সেনার অবস্থান অনেকটাই মজবুত হয়েছে।’
তাঁর দাবি, ক্ষমতা না বুঝেই তাৎক্ষণিক উত্তেজনার বশে নেহরু ফরোয়ার্ড পলিসি নিয়েছিলেন। এটা বুমেরাং হয়েছিল। চিনের চাপে পিছু হটেছিল অল্প সংখ্যক ভারতীয় সেনা। ফলে লাদাখের একটা বিরাট অংশ চিনের দখলেই রয়ে যায়। সেটাই পরে ব্যাকওয়ার্ড পলিসি হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ‘ভুল পথে কংগ্রেস’,৩৭০ নিয়ে বিজেপিকে সমর্থন করে মন্তব্য হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা খারিজ নিয়ে সংসদে জোরদার ভাষণ দিয়ে নজর কেড়েছিলেন শেরিং। এমনকী সোনিয়া গান্ধীকে পর্যন্ত মন দিয়ে শুনতে দেখা গিয়েছিল প্রথমবারের এই বিজেপি সাংসদের এই ভাষণ।
The post নেহরুর জন্যই হাতছাড়া আকসাই চিন, কংগ্রেসকে তোপ লাদাখের সাংসদের appeared first on Sangbad Pratidin.