সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালে (Nepal) রাজনৈতিক ডামাডোল তুঙ্গে। গোটা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে আন্তর্জাতিক মহল। এহেন পরিস্থিতিতে কাঠমান্ডুতে হাওয়া যে কিছুটা হলেও ভারতের পালে তা ইঙ্গিতে স্পষ্ট করে দিলেন এ দেশে সফররত নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গিয়াওয়ালি।
[আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা পাকিস্তানের! লস্করের বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের তকমা বজায় রাখল আমেরিকা]
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ষষ্ঠ ভারত-নেপাল জয়েন্ট কমিশনের বৈঠকে যোগ দেন গিয়াওয়ালি। ভারতের বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাণিজ্য, অপরিশোধিত তেল, গ্যাস, জলসম্পদ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে। এছাড়া, রাজনীতি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ও উঠে আসে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়। এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গেও বৈঠক হয় নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গিয়াওয়ালির। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গিয়াওয়ালি বলেন, “দুই প্রতিবেশীর সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক বজায় রেখেছে নেপাল। আমরা বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্কের তুলনা করি না। আমরা সবসময় নজর রাখি যাতে নেপালের জমি কোনও দেশ নিজের অবৈধ স্বার্থের জন্য ব্যবহার না করে।”
এদিকে, নেপালের বিদেশমন্ত্রীর এই বয়ান নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে কূটনৈতিক মঞ্চে। বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, নেপালে চিনা কার্যকলাপ ও লিপুলেখ নিয়ে ওলি প্রশাসনের ভূমিকায় নয়াদিল্লির ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করছে কাঠমান্ডু। আর পর্দার আড়ালে সাউথ ব্লকের কলকাঠি নাড়াতেই নেপাল সুর নরম করেছে। শুধু তাই নয়, ভারতের বিরুদ্ধে চিনকে যে নেপালের জমি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না, সেই বার্তা ইঙ্গিতে দিয়েছেন গিয়াওয়ালি। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভারত সফরে এসেছেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গিয়াওয়ালি। আর ঠিক তার আগের দিন, নয়াদিল্লির নির্দেশেই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি সংসদ ভেঙে দিতে সুপারিশ করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন পাহাড়ি দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড। শুধু তাই নয়, ওলির জন্যই নেপালের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টিতে বিভাজনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। সব মিলিয়ে নেপালের রাজনীতিতে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব যে চরমে তা স্পষ্ট।