shono
Advertisement

নারাভানে-ওলির বৈঠকে গলছে বরফ? আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর বার্তা নেপালের

কেপি ওলির বাসভবনে ভারতীয় সেনাপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।
Posted: 04:42 PM Nov 06, 2020Updated: 04:52 PM Nov 06, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান করা হবে। ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানের (MM Naravane) সঙ্গে বৈঠকের পর এই বার্তা দিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (K P Sharma Oli)। ভারতের অভিযোগ ছিল, চিনের উসকানিতে দু’দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। শুক্রবারের বৈঠকের পর সম্পর্কের সেই বরফ গলছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

Advertisement

শুক্রবার নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলির বাসভবনে ভারতীয় সেনাপ্রধানের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানে একাধিক ইস্যুতে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, কেপি শর্মা ওলি নেপালের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও বটে।

[আরও পড়ুন : অসুস্থ রুশ ‘আয়রন ম্যান’ পুতিন, ছাড়তে পারেন প্রেসিডেন্ট পদ: রিপোর্ট]

এই বৈঠক শেষে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বিদেশনীতি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা রাজন ভট্টরাই টুইট করে জানান, “বৈঠক চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, দু’দেশের যা সমস্যা রয়েছে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারত-নেপালের দীর্ঘদিনের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। এরপরই দু’দেশের সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল।

 

বৃহস্পতিবার ৭০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য মেনে জেনারেল নারাভানেকে নেপালের সেনাবাহিনীর সাম্মানিক জেনারেল পদে ভূষিত করেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। ১৯৫০ সাল থেকেই এই প্রথা মেনে চলা হচ্ছে। এরপর শুক্রবার বৈঠক বসেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন : করোনাকে হারানো সম্ভব! পরবর্তী মহামারীর জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত হতে বলছে WHO]

উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ থেকে মানস সরোবর পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করে ভারত। এরপরই সমস্যা তৈরি করে নেপাল। লিপুলেখ ও কালাপানি-সহ তিনটি ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করে বিতর্কিত একটি মানচিত্র বানিয়ে ফেলে। এমনকী এর জন্য দেশের সংবিধানে সংশোধন করে কাঠমাণ্ডু। এই টানাপোড়েনের সময়ই নেপালের এই আচরণ অন্য কারও ইশারায় বলে মন্তব্য করেছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান নারাভানে। পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন নেপালের বিদেশমন্ত্রীও। নেপালের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অপমান করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এখন সেই সমস্ত ঘটনাকে পিছনে ফেলে নেপাল যে ফের ভারতের সঙ্গে পথ চলতে চাইছে এমএম নারাভানের সঙ্গে বৈঠকের পর তারই ইঙ্গিত মিলল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement