নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শিশু বিক্রির অভিযোগে শোরগোলের মাঝে সদ্যোজাতর দেহ উদ্ধার। মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় একরত্তির দেহ। সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কে বা কারা এই কাজ করল, কীভাবে শিশুর দেহ শৌচাগারে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বোলপুর নার্সিংহোম থেকে সদ্যোজাত শিশু বিক্রির চক্রের খবরে আলোড়ন পড়ে যায় জেলায়। তার মধ্যে মুরারই সরকারি হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুর দেহ। বুধবার সন্ধ্যায় প্রসূতি বিভাগের ভিতরের শৌচাগারের মধ্যে কাপড়ে জড়ানো অবস্থায় সদ্যজাত শিশুর দেহ দেখতে পান স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেয়। সরকারি হাসপাতালের ভিতর কী করে দেহ উদ্ধার হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সুকান্ত মজুমদারের উপর ‘হামলা’, আক্রান্ত নিরাপত্তারক্ষীরাও]
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, নাম নথিভুক্ত না করেই হাসপাতালের যোগসাজশে কেউ শিশুর জন্ম দিয়েছেন। তবে সেক্ষেত্রে মৃত শিশুর জন্ম দিয়েছেন। নাকি শিশুকে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতালের ভিতরে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। তাই হাসপাতালে আসা কারও গতিবিধির উপর নজর রাখা সম্ভব নয়। রামপুরহাট জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে জানান, মুরারই থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। যদিও মুরারই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিতাভ বিশ্বাস বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।