টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: মহিলা জুনিয়র চিকিৎসক ও ডাক্তারির পড়ুয়াদের হস্টেলের শৌচাগার ঢুকে হস্তমৈথুন করে গ্রেপ্তার হয়েছে যুবক। ধৃতকে ঘিরে উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে দাবি, ইতিপূর্বে একাধিক শৌচাগারে ঢুকে পরার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গ্রামেরও বিভিন্ন এলাকায় তাঁকে হস্তমৈথুন করতেও দেখা গিয়েছে। ধৃতের মানসিক রোগের চিকিৎসা চলছে।
জানা গিয়েছে, নবমীর রাতে লক্ষ্মীকান্ত লেডিজ হোস্টেলে ঢুকে পড়ে গঙ্গাজলঘাটির বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত গড়াই।। শুধু ঢুকে পড়াই নয়, সোজা হস্টেলের দোতলায় উঠে শৌচালয়ে গা ঢাকা দিয়ে হস্তমৈথুন করতে থাকে সে। ঘটনা চোখে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে । খবর পেতেই হস্টেলে ঢুকে যুবককে আটক করে পুলিশ। কেন সে এই ঘটনা ঘটাল তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্ত শুরু করতেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
লক্ষ্মীকান্ত গড়াই গঙ্গাজলঘাটির থানার দুমুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। বাবা সনাতন গড়াই কর্মহীন। দুই বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁদের আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়। এ নিয়ে মানসিক চাপ ছিল লক্ষ্মীকান্তর। কিছুদিন আগে তাঁর চিকিৎসা করাতে অমরকানন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে এসেছিলেন বাবা সনাতন গড়াই। সেই সময় তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শৌচাগারে লুকিয়ে বসেছিলেন। খোঁজাখুঁজি শুরু পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে আটক করে। পরে অবশ্য ছেড়েও দেয়। এর পর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীকান্ত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে এনেছিলেন সনাতন। তখনই এই কাণ্ড ঘটায়।
দুমুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, গ্রামের ফাঁকা এলাকা, মাঠে-ঘাটে মাঝেমধ্যে লক্ষ্মীকান্তকে দেখা যেত। সেখানে বসে সে হস্তমৈথুন করত। এবার সরাসরি লেডিজ হস্টেলে কুকীর্তির ঘটনা প্রকাশ্যে এল।