সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘স্কুলের ব্যাগটা বড্ড ভারী’। ভারী স্কুলব্যাগের দিন এবার শেষ হতে চলেছে। একগাদা বই-খাতা ভরতি ভারী ব্যাগ ছোটদের কাঁধে চাপানো আর চলবে না। নয়া শিক্ষানীতিতে (NEP-2020) স্কুলব্যাগের ওজন বেঁধে দিল শিক্ষামন্ত্রক। বলা হয়েছে, ছোটদের ব্যাগের সর্বোচ্চ ওজন ২ কেজি এবং বড়দের ৩.৫ কেজির বেশি হওয়া চলবে না। শুধু কি তাইই? কমছে হোমওয়ার্কের (Homework) চাপও। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনও হোমওয়ার্ক দেওয়া চলবে না। ফলে ছোটদের চাপ অনেকাংশেই কমছে বলে মত শিক্ষামহলের।
চলতি বছরের জুলাই মাসে তিন দশকের পুরনো শিক্ষানীতির আমূল বদল ঘটিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি। স্কুল (School) থেকে উচ্চশিক্ষা স্তরের সমস্ত খোলনলচে বদলে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আপত্তিও উঠেছিল। এ রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরও পরিকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা কারণ দেখিয়ে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিকে সমর্থন করেনি। তবে স্কুলপড়ুয়াদের পড়াশোনার চাপ কমিয়েও সঠিক শিক্ষাদানে কেন্দ্রের নতুন ভাবনাকে সমর্থনযোগ্য বলেই মনে করছেন শিক্ষামহলের একটা বড় অংশ।
[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন? প্রকাশ্যে জনতার রায় চাইবেন বিপ্লব দেব]
আর এবার শিক্ষামন্ত্রকের নতুন গাউডলাইনে তাঁরা আরও আশাবাদী। ধরেবেঁধে পড়ানো নয়, বরং হেসেখেলে যাতে ধাপে ধাপে শিক্ষালাভ করতে পারে পড়ুয়ারা, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কী সেই নতুন ব্যবস্থা? গাইডলাইন অনুযায়ী –
- দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনও বাড়ির কাজ থাকবে না পড়ুয়াদের। বরং ওই সময়টা সে কীভাবে কাটিয়েছে, তা পরেরদিন ক্লাসে গিয়ে বলতে হবে।
- তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা হোমওয়ার্ক করতে হবে।
- পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য দিনে ১ ঘণ্টা করে বরাদ্দ বাড়ির কাজের জন্য।
- নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা দিনে ২ ঘণ্টা হোমওয়ার্ক করবে।
[আরও পড়ুন: কাটছে দুর্দিন! নতুন বছরের গোড়াতেই স্বাভাবিক হতে পারে দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা]
কমছে ব্যাগের বোঝাও। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের গাইডলাইন –
- পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন কোনওভাবেই পড়ুয়াদের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি হবে না।
- প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ব্যাগের ওজন ১.৫ থেকে ২ কেজির মধ্যে থাকবে।
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার ব্যাগের সর্বোচ্চ ওজন ৫ কেজির বেশি হবে না।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের সমীক্ষার ভিত্তিতে এই নয়া গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর। গত সপ্তাহেই নতুন গাইডলাইন রাজ্যগুলিকে পাঠানো হয়েছে।