অর্ণব আইচ: আমির খানের সঙ্গী রুমেন আগরওয়ালের ১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছিল কয়েক কোটি টাকা। ওই টাকা গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া টাকা কি না, তা যাচাই করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
আমির খানের বাড়ি থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত শুরু করে ইডি উল্টোডাঙার ব্যবসায়ী তথা প্রোমোটার রুমেন আগরওয়াল ওরফে রোমেনের সন্ধান পায়। বুধবার রুমেনের উল্টোডাঙার বাড়ির দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। একটি ফ্ল্যাটে সকাল দশটা থেকে রাত ও অন্য ফ্ল্যাটে সকাল থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলে ইডির তল্লাশি। তাতেই আলমারি ভেঙে উদ্ধার হয় ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করার পর শুক্রবার রুমেনকে ইডি ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, দু’টি সিজার লিস্ট তৈরি করে ইডি। ইডি জানিয়েছে, আমির খানের সঙ্গে প্রায় দেড় বছরের পরিচয় রুমেনের। আমিরের ক্রিপটোকারেন্সির একটি অ্যাকাউন্ট থেকেই রুমেনের ক্রিপ্টোকারেন্সির অ্যাকাউন্টে সাত কোটিরও বেশি টাকার পরিমণে বিটকয়েন জমা পড়েছিল। ওই বিটকয়েন ফ্রিজ করার পর ইডির মতে, গেমিং অ্যাপ থেকে জালিয়াতির টাকা প্রথমে রুমেনের ১৪টি অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়। সেখান থেকেই টাকার পরিবর্তন হয় ক্রিপ্টোকারেন্সির অ্যাকাউন্টে।
[আরও পড়ুন: মূর্তি গড়ার সময় কারখানায় ঢুকে পড়ল গাড়ি, হাওড়ায় মৃত্যু মৃৎশিল্পীর, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিমা]
এদিন রুমেনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইডির হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সেদিনই তাকে ইডি আদালতে তোলা হবে। এদিন আমির খানকেও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে। সরকারি আইনজীবী জানান, এই চক্রটি গেমিং অ্যাপে জালিয়াতি ছাড়াও টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ারও টোপ দিয়ে জালিয়াতি চক্র চালাত। আমির খানের মদতে ভুয়া নাম ও নথির সাহায্যে ব্যাংকের জাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হত। আমিরের এক সহযোগী মঙ্গল হালদারের অ্যাকাউন্টে দশ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আমির খান ও মঙ্গল হালদারকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। রুমেনকে জেরা করে তার ভিত্তিতেই আমিরকে পরে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে ইডি।