shono
Advertisement

দুর্গন্ধ ঢাকতে যুবকের দেহের সঙ্গেই পোড়ানো হয় কর্পূর-ঘি! সল্টলেক কাণ্ডে প্রকাশ্যে নয়া তথ্য

খুনের মোটিভ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ।
Posted: 06:43 PM Dec 11, 2020Updated: 06:43 PM Dec 11, 2020

কলহার মুখোপাধ্যায়: সল্টলেকের বাড়ির ছাদ থেকে যুবকের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় প্রকাশ্যে নয়া তথ্য। অনুমান, বাড়ির ছাদেই পোড়ানো হয়েছে মাহেনসরিয়া পরিবারের বড়ছেলে অর্জুনকে। কিন্তু কেন এই নৃসংসতা? তা নিয়েই হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে।

Advertisement

পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, সল্টলেকে এজে ব্লকের ওই ‘অভিশপ্ত’ বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা একটি নোড়া। এতেই অনুমান করা হচ্ছে, ওইটিই খুনের অস্ত্র। অর্থাৎ নোড়া দিয়ে মাথায় আঘাত করেই খুন করা হয়েছিল অর্জুনকে। এরপর তিনতলার ছাদে পোড়ানো হয় দেহ। সেই গন্ধ আটকাতে ছাদে বিরাট কড়াইতে একই সময়ে পোড়ানো হয় কর্পূর ও ঘি। সেই গন্ধে চাপা পড়ে যায় দেহ পোড়ানোর দুর্গন্ধ। এরপরই দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছাড়ে ধৃত গীতা। জানা গিয়েছে, শুধু বিদুর নয়, গোটা ঘটনায় মেয়ে বৈদেহীর যোগ রয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। সেই কারণেই ইতিমধ্যেই তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে দেহটি অর্জুনের বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত হলেও ডিএনএ টেস্টের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: শীতের মারে শিয়ালদহ-হাওড়া থেকে বাতিল বহু দূরপাল্লার ট্রেন, বিপাকে যাত্রীরা]

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সল্টলেকের এজে ব্লকের ২২৬ নম্বর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় পূর্ণবয়স্ক একটি নরকঙ্কাল। পুলিশের অনুমান ছিল, দেহটি ওই বাড়ির বড়ছেলে অর্জুন মাহেনসরিয়ার। এরপরই তাঁকে খুনের অভিযোগে মা ও ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই সময়ই জানা গিয়েছে, মাহেনসরিয়া দম্পতির মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। পরিস্থিতি এত খারাপ হয় যে আলাদা থাকতে শুরু করেন গৃহকর্তা অনীল মাহেনসরিয়া।

[আরও পড়ুন: ফ্ল্যাট থেকে গৃহকর্তার গলা কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২, খুনের কারণ নিয়ে ধন্দ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement