সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি জমানায় এখন দেশের সমস্ত নাগরিকদের একমাত্র অভিন্ন পরিচয়পত্র আধার কার্ড। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সদ্যোজাতদের সরকারি হাসপাতাল থেকেই আধার কার্ড করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পাঞ্জাব সরকার।
[মৃত ব্যক্তির আধার ইস্যুতে ফের নয়া ঘোষণা কেন্দ্রর]
প্রকল্পটা ছিল ইউপিএ সরকারের। তবে দেশের সমস্ত নাগরিকের আধার কার্ড করার প্রক্রিয়ার শুরু হয়েছে মোদি জমানায়। আর এখন যেকোনও সরকারি পরিষেবা পেতে এই আধার কার্ডকেই নাগরিকদের একমাত্র অভিন্ন পরিচয়পত্র হিসেবে মান্যতা দিতে চাইছে মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই প্যান কার্ড ও মোবাইল ফোনের কানেকশনের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বস্তুত, দিন কয়েক আগেই কোনও ব্যক্তির মৃত্যু নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রেও মৃত ব্যক্তির আধার কার্ড থাকাও বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা আরজিআই। পরে অবশ্য সেই অবস্থান থেকে সরে আসে কেন্দ্র। জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও ব্যক্তির মৃত্যু নথিভুক্ত করার জন্য মৃত ব্যক্তির আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। তবে সে যাই হোক, আগামিদিনে সর্বক্ষেত্রেই যে আধার কার্ডের প্রয়োজন পড়বে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই প্রেক্ষাপটে এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার। সে রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে জন্মের পরই সদ্যোজাতকে আধার কার্ড করে দেওয়া হবে। পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রাহ্ম মহিন্দ্রা জানিয়েছেন, এখন থেকে সরকারি হাসপাতালেই সদ্যোজাতদের আধার কার্ড করিয়ে নেওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে সরকারি হাসপাতালগুলিতে এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রসঙ্গত, প্রতি মাসে পাঞ্জাবের সরকারি হাসপাতালগুলিতে কয়েকশো শিশুর জন্ম হয়।
[শেয়ার কেনাবেচা, মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নিতেও বাধ্যতামূলক হচ্ছে আধার]
তবে শুধুমাত্র আধার কার্ডের পরিষেবা চালু করাই নয়, সামগ্রিকভাবে পাঞ্জাবের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবারও হাল ফেরাতে চাইছে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রাহ্ম মহিন্দ্রা জানিয়েছেন, এখন থেকে প্রতি শনিবার সিভিল সার্জন, সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসাররাও সরকারি হাসপাতালে রোগী দেখবেন।
[আধার কার্ড করাতে গিয়ে আক্রান্ত অভিনেতা লামা]