বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পরিচয়। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। মাত্র কয়েকদিনে সম্পর্ক এতটাই গভীর হয়ে যায় যে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে ওঠে কিশোরী। প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে থাকার পরে অল্পদিনেই মোহভঙ্গ। শুরু হয়ে যায় পারিবারিক অশান্তি। আর অশান্তির পরিণতি স্বরূপ শেষ পর্যন্ত মাত্র ৬ মাসের বিবাহিত জীবনেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে হয় ওই কিশোরীকে। এমন ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার চাপড়া থানার পুকুরিয়া গ্রামে।
মৃত কিশোরীর নাম সুস্মিতা হালদার। তার বাপের বাড়ি নদিয়ার চাকদহ থানার শিমুরালির মালোপাড়া এলাকায়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মাসছয়েক আগে পরিচয় হয়েছিল ২২ বছর বয়সি চাপড়া থানার পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা শুভেন্দু হালদারের। মাসছয়েক আগে একদিন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পালিয়ে যায় সুস্মিতা। এরপর প্রেমিকের সঙ্গে সটান তার বাড়িতে গিয়ে ওঠে।
[আরও পড়ুন: ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পার্থ ও অর্পিতা, নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল আদালতের]
যদিও সুস্মিতার এক আত্মীয়া জানিয়েছেন, “ওর সঙ্গে যে কারোর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে সেটা আমরা জানতাম না। যখন জানতে পেরেছি তখন সুস্মিতা তার প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে উঠেছে। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে আসার ব্যাপারে কিছুতেই রাজি ছিল না। যদিও বাড়ির সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না। বৃহস্পতিবার আমরা তার মৃত্যুর খবর পাই। জানতে পারি প্রেমিকের বাড়িতে সে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। পারিবারিক অশান্তির জেরেই সুস্মিতা আত্মহত্যা করেছে বলে অনুমান। যদিও সেই অশান্তির কারণ কী, তা আমাদের কাছে বৃহস্পতিবার সন্ধে পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।”
বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে সুস্মিতার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। যদিও পুলিশের কাছে এদিন সন্ধ্যে পর্যন্ত কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা।