নব্যেন্দু হাজরা: ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। চলতি মাসের শেষে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বাংলা বা ওড়িশা উপকূলে। গত কয়েকদিনে এই খবরে ছয়লাপ সোশ্যাল মিডিয়া। বিষয়টি নজরে পড়তেই আমফান (Amphan) পরবর্তী পরিস্থিতি স্মরণ করে অনেকেই সুরক্ষিত স্থানে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাল, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়ের খবর। জানা যায়, মার্চের শেষ অথবা এপ্রিলের প্রথমে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গে। যার নাম ‘টাউকতে’। এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে। জনজীবন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কায় ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের স্বার্থে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের (Regional Meteorological Centre, Kolkata) তরফে জানানো হল, এই ঘূর্ণিঝড়ের খবর একেবারেই ভুল। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ১০ দিনেও বঙ্গে ঘূর্ণাবর্তের কোনও সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, কোনওরকম ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা থাকলে, তা আগেভাগেই প্রেস রিলিজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘আগে মহিলাদের জন্য রেলের ভাড়া মকুব করে দেখাক’, ইস্তাহার নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা অভিষেকের]
গত বছর মে মাসে রাজ্যে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। লণ্ডভণ্ড করে দেয় বাংলা (West Bengal)। মাথার উপরের ছাদ হারিয়েছিল কয়েক হাজার পরিবার। তাঁদের ঠাই হয়েছিল ত্রাণ শিবিরে। গাছ ভেঙে পড়ে শহরের রাজপথ হয়ে গিয়েছিল স্তব্ধ। স্বাভাবিক গতি হারিয়েছিল শহর কলকাতা। গোটা জেলার অবস্থাও কার্যত হয়ে গিয়েছিল একইরকম। আমফান তাণ্ডব চালানোর পর প্রায় ৪ থেকে ৫ দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল বহু এলাকা। জনজীবন স্বাভাবিক হতে কোথাও কোথাও একমাসেরও বেশি সময় লেগেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘূর্ণিঝড়ের খবরে আঁতকে উঠেছিল আমজনতা। উল্লেখ্য, মার্চ থেকে মে, এই তিনমাস ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল সম্ভাবনা থাকে।