সুকুমার সরকার, ঢাকা: লাভের গুড় খাচ্ছে পিঁপড়ে। রোহিঙ্গা ত্রাণকার্যে বরাদ্দ তহবিল নিয়ে এমনই দাবি করলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক। তিনি জানান, শরণার্থীদের জন্য বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে, তার সিংহভাগই খরচ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির তরফে ত্রাণকার্যে মোতায়েন কর্মীদের থাকা-খাওয়ার জন্য।
[দিল্লির মসনদে বসছে কে? অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ওপার বাংলা]
এক বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী হক জানিয়েছেন, ২০১৮-র সেপ্টেম্বর থেকে এপর্যন্ত, গত ছয় মাসে বাংলাদেশে থাকা এনজিও কর্মীদের হোটেল বিল বাবদ খরচ করা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। এছাড়াও ফ্ল্যাট ভাড়ায় ব্যয় হয়েছে আট কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বরাদ্দের চারভাগের তিনভাগই ব্যয় হয়েছে ত্রাণকার্যে মোতায়েন কর্মীদের থাকা-খাওয়ার জন্য। ফলে সেই অর্থে বরাদ্দ অর্থ প্রায় পৌঁছায়নি রোহিঙ্গাদের কাছে। মায়ানমার সেনার অভিযানে বিতাড়িত প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা আপাতত আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে। ফলে বিপুল চাপের মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এমনই পরিস্থিতিতে হাসিনা সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত-সহ একাধিক দেশ। ত্রাণকার্যে নেমেছে দেশি-বিদেশি অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও।
কিন্তু এবার এনজিওগুলির কর্মপদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুললেন মন্ত্রী মোজাম্মেল হক। সাংবদিকদের সামনে তিনি বলেন, “অনেক এনজিও অসাধু উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। আমাদের কাছে এই বিষয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট রয়েছে। ওই সংস্থাগুলি বিদেশ থেকে যে টাকা আনে সেটা ভুক্তভোগী অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের জন্য ২৫ শতাংশও খরচ হয় না।” পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে তিনি আরও বলেন, “রোহিঙ্গাদের দ্রুত ভাসানচরে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছে সরকার। সরকার কীভাবে শরণার্থীদের সুরক্ষা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবে তা নিয়ে বিদেশিদের মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই।”
[বালাকোট থেকে জঙ্গিদের মৃতদেহ সরিয়েছে পাক সেনা, দাবি সমাজকর্মীর]
The post লাভের গুড় খাচ্ছে পিঁপড়ে! ত্রাণকর্মীদের হোটেল বিলেই ফাঁকা রোহিঙ্গা তহবিল appeared first on Sangbad Pratidin.