সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে রিপোর্ট পেশ করে বিস্ফোরক পর্যবেক্ষণের কথা জানাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনার (NHRC)। তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে কমিশনের রিপোর্টে। পাশাপাশি রিপোর্টে এও জানানো হয়েছে, পুলিশকে ডেকে সমঝোতার কথাও বলা হয়েছিল। এনিয়ে কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের তরফে। রাজ্য সরকার তার ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চাইল কমিশন। আগামী দু মাসের মধ্যে এনিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে রিপোর্ট দিতে হবে। যদিও কমিশনের এই রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল (TMC) নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিজেপির ক্যাডারের মতো কাজ করছে।
ভোটের মুখে সন্দেশখালি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গতি বাড়িয়েছে। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে জমি, ভেড়ি দখলের অভিযোগে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। এসব ছাড়াও সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের যেসব ধারাবাহিক অভিযোগ উঠেছিল, তার ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তার ভিত্তিতে সুপারিশও করা হয়।
[আরও পড়ুুন: প্রচারে বেরিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনে মেজাজ হারালেন অধীর, যুবককে চড়!]
NHRC-র রিপোর্ট অনুযায়ী, শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) দুই সাগরেদ - শিবু হাজরা, উত্তম সর্দাররা যে কোনওরকম অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে মহিলাদের গণধর্ষণের অভিযোগকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে সেই রিপোর্টে। মানবাধিকার কমিশনের আরও পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তদের রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় অনেকেই অভিযোগ করতে পারেননি। এসব নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একডজন সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিল, তা নিয়ে আগামী ২ মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।