সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যান্টিলা মামলায় এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট প্রদীপ শর্মাকে গ্রেপ্তার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।
[আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় দেশের ক্ষতি ২ লক্ষ কোটি টাকা! রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্টে উদ্বেগ]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শর্মার মুম্বইয়ের বাড়িতে অভিযান চালায় এনআইএ। তারপরই শিব সেনা নেতা তথা মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন অফিসার শর্মাকে গ্রেপ্তার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এনআইএ মনে করছে ধনকুবের মুকেশ আম্বানির বাড়ি ‘অ্যান্টিলা’র সামনে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি রাখার ঘটনায় হাত রয়েছে শর্মার। এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে আরও বেশ কয়েকজন রাঘব বোয়াল রয়েছেন বলেও মনে করছেন গোয়েন্দারা। প্রদীপ শর্মাকে জেরা করে সেই রহস্যের সমাধান হতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। উল্লেখ্য, নয়ের দশকে মুম্বইয়ের অন্ধকার জগতের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন শর্মা। বাণিজ্য নগরীর উত্তাল সেই দিনগুলিতে তাঁর বন্দুকের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল একাধিক গ্যাংস্টার। ওই প্রাক্তন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ফেক এনকাউন্টারের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালে ডন দাউদ ইব্রাহিমের শাগরেদ ছোটা শাকিলের সঙ্গে আঁতাঁত থাকার অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় শর্মাকে। যদিও প্রমাণের অভাবে তাঁকে বেকসুর খালাস করে ২০১৭ সালে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়। তারপর ২০১৯ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চাকরি থেকে বিদায় নিয়ে শিব সেনায় যোগ দিয়ে নির্বাচনে নামেন শর্মা।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির বাড়ি ‘অ্যান্টিলা’র সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে ২০টি জিলেটিন স্টিক পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তদন্তে উঠে আসে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় পুলিশ অফিসার শচীন ওয়াজের নাম। তারপর মে মাসে তাঁকে বরখাস্ত করে মুম্বই পুলিশ। জানা যায়, যে গাড়িতে বোমা রাখা হয়েছিল তার মালিক ব্যবসায়ী মনসুখ হিরনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৫ মার্চ। এরপরে রহস্য আরও গভীর হয়। শচীনকে জেরা করার পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তার আগেই ‘এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট’ ওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, মনসুখ হিরেনকে তিনিই খুন করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আগেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।