শুভঙ্কর বসু: মুম্বই, দিল্লি ও রাজস্থানের একাধিক জায়গায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ছক কষেছিল জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা (lashkar e taiba)। নগর দায়রা আদালতের বিশেষ এনআইএ আদালতে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করল এনআইএ (NIA)।
লস্কর জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য হিসাবে ধৃত তানিয়া পারভিন ও ইদ্রিশের হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চেয়ে আবেদন করেছিল এনআইএ। কিন্তু আবারও তাদের কেন হেফাজতে রাখতে চাইছে এনআইএ, বিচারকের এই প্রশ্নের উত্তরে এনআইএ-র তরফে আইনজীবীর চাঞ্চল্যকর দাবি, তানিয়া ও ইদ্রিশকে জেরা করে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। দক্ষিণ ভারতের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে একাধিক ধর্মীয় স্থানের ম্যাপ উদ্ধার করা গিয়েছে। হার্ড ডিস্ক ও ওয়াইফাই রাউটারও পাওয়া গিয়েছে। যেখানে একাধিক মানুষ জড়ো হয় সেসব জায়গা চিহ্নিতকরণের কাজ করছিল এই জঙ্গি সংগঠন।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ বহিষ্কৃত তৃণমূল বিধায়ক বৈশালীর, বালির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা]
এছাড়াও এনআইএ-র আইনজীবী জানিয়েছেন, একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেরও হদিশ মিলেছে। যেটি মারফত জঙ্গিরা দীর্ঘদিন ধরে গোপন বার্তা পাঠাত। তানিয়া ও ইদ্রিশকে জেরা করেই বেঙ্গালুরু ও তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গা থেকে হার্ডডিস্ক ও ম্যাপগুলি উদ্ধার হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছেন এনআইএ-র আইনজীবী। সে কারণেই তাদের আরও বেশি সময় হেফাজতে রেখে জেরার প্রয়োজন রয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছে এনআইএ।
এদিকে, সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে ফের রাজ্যে জেএমবি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে সতর্কবার্তা। মুর্শিদাবাদের লালগোলা সীমান্ত দিয়েই অনুপ্রবেশ করেছে নব্য জেএমবির (Neo JMB) ৬ জন সদস্য! কিন্তু তারা কোথায় গা-ঢাকা দিয়েছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন গোয়েন্দারা। ফলে ২৬ জানুয়ারির আগে ফের রাজ্যের নিরাপত্তা বেড়েছে কয়েকগুণ।