গোবিন্দ রায়: রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণের ঘটনার মূল চক্রী ছত্রধর মাহাতোই (Chhatradhar Mahato)। বৃহস্পতিবার চার্জশিটে এমনটাই দাবি জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। পাশাপশি, এদিনের ৫০ পাতার চার্জশিটে নাম রয়েছে মাও-নেতা কিষেনজি, ছত্রধরের ভাই শশধর মাহাতো-সহ ১৩ জনের। সকলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
চার্জশিটে এনআইএ দাবি জানিয়েছে, নিজেকে কারামুক্ত করার জন্য জেলে বসেই ছত্রধর রাজধানীর যাত্রীদের অপহরণ করার ছক কষেছিল। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে দিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস ঝাড়গ্রামের কাছে হাইজ্যাক করেছিল মাওবাদীরা। সেই মামলায় ছত্রধরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর অবশ্য এ বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছাত্রধর মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু লালগড়ে ভোট পর্ব মিটতেই গত ২৭ মার্চ গভীর রাতে অভিনব কায়দায় তাকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। গ্রেপ্তারের ১৮০ দিনের মাথায় এদিন এই চার্জশিট দাখিল করে এনআইএ।
[আরও পড়ুন: পদ ছাড়ার আগেই সাংসদ তহবিলের বাকি টাকা মঞ্জুর বাবুল সুপ্রিয়ের, দিলেন ট্রোলের জবাবও]
এই মুহূর্তে ছত্রধর মূলত দুটি মামলায় অভিযুক্ত – ২০০৯ সালে রাজধানী এক্সপ্রেসে নাশকতার চেষ্টা এবং ওই বছরেই সালে লালগড়ে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো হত্যাকাণ্ড। দুই মামলাতেই দীর্ঘ সময় পর তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। এরপর ছাত্রধরকে কয়েক দফায় জেরাও করেন তদন্তকারীরা।