সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ দমনে বড়সড় পদক্ষেপ। দেশজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনএআইএ। জঙ্গিদের অর্থ জোগানো-সহ একাধিক অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র (পিএফএআই) ১০০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন তদন্তকারীরা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, তামিলনাড়ুতে পপুলার ফ্রন্টের বেশ কয়েকটি দপ্তরে হানা দিয়েছে এনআইএ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়েছেন কোয়াম্বাটোর, কুডালোর, রামনাদ, ডিন্ডিগোল, থেনি ও থেনকাসিতে। চেন্নাইয়ে পিএফআই-য়ের প্রধান দপ্তরেও তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ (NIA) ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। শুধু তাই নয়, কেরলেও পপুলার ফ্রন্টের রাজ্য ও জেলা স্তরেরে নেতাদের বাড়ি ও দপ্তরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ধরপাকড় চলছে অসম, বিহার, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গেও।
[আরও পড়ুন: বিক্ষোভের জের! উত্তরপ্রদেশে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার PFI-এর ২৫ সদস্য]
এদিকে, এনআইএ অভিযানের বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে পপুলার ফ্রন্ট। এক বিবৃতিতে সংগঠনটির অভিযোগ, তাদের অযথা হেনস্তা করা হচ্ছে। প্রতিবাদী স্বর থামিয়ে দিতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে সরকার। কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। তবে, পিএফআইয়ের এই দাবি ঠিক ততটা জোরাল নয় বলেই মত বিশ্লেষকদের। কারণ, এর আগে দেশের একাধিক প্রান্তে সাম্প্রদায়িক হিংসায় অভিযুক্ত এই সংগঠনটি। জেহাদিদের আর্থিক মদত দেওয়া এবং ধর্মান্তকরণের বহু অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বেঙ্গালুরুর সাম্প্রদায়িক হিংসার নেপথ্যে পিএফআইয়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদএ উত্তরপ্রদেশে হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে অসমে একটি উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে দখলদারদের উসকে হামলা করানোয় হাত রয়েছে পিএফআই-র বলে দাবি।