ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কলকাতায় ফের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে প্রাণ হারাল ন’বছরের বালিকা পল্লবী দে। রাজ্যবাসী যাতে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন, তার জন্য সতর্ক করে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করল নবান্ন।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে জ্বরে আক্রান্ত হয় ষষ্ঠ শ্রেণি ছাত্রী পল্লবী। শারীরিক পরীক্ষার পর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানতে পারেন নাক, মুখ, হাতের চামড়ার মতো অঙ্গ অথবা প্রস্রাব দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। এরপরই ওই বালিকাকে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে ভরতি করা হয়। শুক্রবার গোটা দিন ধরে তাকে সুস্থ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালান শিশু বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার মৃত্যু হয় পিকনিক গার্ডেনের বালিকার। তার মৃত্যুর সংশাপত্রে মারাত্মক ডেঙ্গু এবং একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার প্লেটলেট ৯ হাজারে নেমে গিয়েছিল। যার জন্য রাখতে হয়েছিল ভেন্টিলেশনে।
[আরও পড়ুন: রাঁধবেন নাকি উত্তম কুমারের প্রিয় ‘ভেটকির কাঁটা চচ্চড়ি’? জেনে নিন রেসিপি]
রাজ্যে বর্ষা আসতেই ডেঙ্গু নিয়ে শুরু হয়েছে চিন্তা। যদিও এখনও পর্যন্ত সেভাবে দাপট দেখাতে পারেনি। তাই আগেভাগেই রাজ্যবাসীকে সতর্ক করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। নয়া গাইডলাইনে বলা হয়েছে (Dengue Treatment Guideline) রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট যদি ১০ হাজারের নিচে নেমে যায়, তবেই জীবনদায়ী প্লেটলেট দিতে হবে। যেসব রোগীদের প্লেটলেট কাউন্ট ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে, সেক্ষেত্রে রক্তপাত না হলে প্লেটলেট দেওয়ার দরকার নেই। কোন গ্রুপের প্লেটলেট প্রয়োজন, প্রেসক্রিপশনে তা উল্লেখ করতে হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলার হাসপাতাল এবং ব্লাড ব্যাংকে এই গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আসলে অনেক সময়ে সঠিক পন্থায় রোগীর যত্ন নিলে প্লেটলেট নিজে থেকেই বেড়ে যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তা কমে গেলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে। প্লেটলেটের অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়। আর তখনই সমস্যা দেখা দেয়। সেই কারণেই জারি নয়া গাইডলাইন।