সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবরীমালা মন্দিরে মহিলা প্রবেশ ঘিরে থমথমে গোটা কেরল৷ ভক্তদের আন্দোলনের জেরে কার্যত নতিস্বীকার করেছেন মহিলা পুণ্যার্থীরা৷ এখনও পর্যন্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি কেউই৷ তারই মাঝে মর্মস্পর্শী বার্তা নিয়ে সবরীমালার সামনে হাজির হল ন’বছরের একটি মেয়ে৷ নাম জননী। প্ল্যাকার্ডে সে লিখেছে, অশান্তির আবহে আর মন্দিরে প্রবেশ করতে চায় না সে৷ বরং পঞ্চাশ বছর বয়সেই মন্দিরে ঢুকবে সে৷
[সবরীমালা নিয়ে নতিস্বীকার, রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে চলেছে কেরল সরকার]
গত ২৮ সেপ্টেম্বর, যুগান্তকারী রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ প্রায় একশো বছরের রীতি মেনে সেই রায় অনুযায়ী গত বুধবার বিকাল পাঁচটার পর থেকেই সব মহিলাদের জন্য খুলে যাওয়ার কথা সবরীমালা মন্দিরের দরজা৷ কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের রায় মানতে নারাজ ভক্তেরা৷ সবরীমালায় মহিলারা প্রবেশাধিকার পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু প্রবেশ করতে পারেননি কেউই৷ পুরনো নিয়মের হেরফের হোক, চান না তাঁরা৷ তাই মন্দিরের সামনে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছে ভক্তেরা৷ কোনও মহিলাকেই মন্দিরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না৷ আন্দোলন-বিক্ষোভে কার্যত নতিস্বীকার করে নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ৷ রিভিউ পিটিশন দাখিল হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ ট্রাস্টি বোর্ডের তরফে চিঠি লিখে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেরলে শান্তি যাতে বিঘ্নিত না হয় তাই এখন সবরীমালায় মহিলা প্রবেশ সম্ভব নয়৷ প্রয়োজনে মন্দির বন্ধ রাখা হতেও পারে৷
[অমৃতসরের দুর্ঘটনায় কোনও আর্থিক সাহায্য নয়, দায় ঝাড়ল রেল]
আদালতের রায়, ভক্তদের আন্দোলনেও কিছুই বুঝতে পারছে না বছর নয়েকের ছোট্ট জননীর৷ মাদুরাই থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে সবরীমালা মন্দিরে আসে সে৷ থমথমে পরিস্থিতিতেও আলাদাভাবে সকলের নজর কেড়েছে জননী৷ তার গলায় ঝোলানো একটি প্ল্যাকার্ডই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু৷ জননীর বাবা বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দিয়েছে আমরা জানি না৷ আমার মেয়ের আর কয়েকদিন পর দশ বছর পূর্ণ করবে৷ এবার মন্দিরে ঢুকতে পারল না সে৷ তাই আমি চাই পঞ্চাশ বছর পেরোলেই সবরীমালায় প্রবেশ করুক জননী৷’’
এদিকে, পঞ্চাশোর্ধ্ব বেশ কয়েকজন মহিলা শনিবার সবরীমালা মন্দিরের সামনে গিয়ে জড়ো হন৷ তবে বয়সের উপযুক্ত প্রমাণপত্র না দেখাতে পারার ফলে মন্দিরে ঢোকা হয়নি তাঁদের৷
The post অশান্তি অপছন্দ খুদে জননীর, সবরীমালায় প্রবেশের ইচ্ছে ৫০ বছর বয়সে appeared first on Sangbad Pratidin.