সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাফালে যুদ্ধবিমানের চুক্তিকে কেন্দ্র করে বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে ইউপিএ জমানার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির বাগযুদ্ধ চরমে উঠল। রাফালে চুক্তি ভাল না খারাপ এবং রাফাল যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত লেনদেনের ত্রুটি বিচু্যতি নিয়েই তাঁদের মধ্যে শুরু হয়েছে তরজা। এই পরিস্থিতিতে রাফাল চুক্তি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি ১০ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতুবি রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, নবীন সিনহা এবং তরুণ জোসেফকে নিয়ে তৈরি বেঞ্চ ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই মামলার শুনানি মুলতুবি রাখে।
[‘দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে জেএনইউ’, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক]
রাজধানীতে মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান উমেন’স প্রেস কর্পস (আইডব্লিউপিসি)-র এক আলোচনা সভায় নির্মলা বলেন, কংগ্রেস সরকারের আমলেই হ্যাল-তে রাফাল যুদ্ধবিমান তৈরির বিষয়টি কার্যকর হয়নি। কেন্দ্রীয় সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড বা হ্যাল-এ বেশি সংখ্যক রাফালে তৈরির জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় পিছিয়ে আসতে হয়েছে মনমোহন সরকারকে। ইউপিএ সরকারে আমলেই হ্যাল রাফাল তৈরির বরাত পায়নি । নির্মলা বলেছেন, কীভাবে এই যুদ্ধবিমান উৎপাদন করা হবে তা নিয়ে ফরাসি সংস্থা দাসাউ-এর সঙ্গে ভারতের হ্যাল সংস্থার তখন কোনও চুক্তি হয়নি। হ্যাল তথা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের সঙ্গে শর্তে মেলেনি, তাই চুক্তি হয়নি। আর এই চুক্তিটি হয়নি ইউপিএ জমানায়। তাই এখন যে রাফাল চুক্তি হয়েছে তার কৃতিত্ব বা ত্রুটি কোনওটাই দাবি করতে পারেন না ইউপিএ জমানার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। এই চুক্তিতে হ্যালের নাম অংশীদার হিসাবে জোড়া যায়নি তৎকালীন ইউপিএ সরকারের ব্যর্থতায়।
মঙ্গলবার ইউপিএ জমানার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি নির্মলা সীতারমণকে দোষারোপ করে বলেন, হ্যালকে দায়িত্ব না দিয়ে ভারতীয় এই সরকারি সংস্থার ভাবমূর্তি খারাপ করে দিয়েছে মোদি সরকার। যুদ্ধবিমান তৈরিতে হ্যালের সুনাম ও দক্ষতা রয়েছে। অথচ সীতারমণ বলছেন, রাফাল যুদ্ধবিমান তৈরি করার ক্ষমতা হ্যালের নেই। যুদ্ধবিমান তৈরির দেশের একমাত্র সংস্থাকে কালিমালিপ্ত করছেন নির্মলা সীতারমণ।
অ্যান্টনির এই দোষারোপের পরই মুখ খোলেন নির্মলা সীতারমণ। তিনি বলেন, ক’টা যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হয়েছে? বেশি না কম কেনা হচ্ছে? কংগ্রেসের এই প্রশ্নগুলির উত্তর প্রকাশ্য সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো সম্ভব নয়। কারণ জাতীয় নিরাপত্তার মতো অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়গুলি এতে জড়িত। তবে মোদিজি নিজে মূল্যায়ন করেছেন এবং সেই মতো বরাত দেওয়া হয়েছে। ২০১৫তেই দরকার ছিল ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান। দফায় দফায় এই সংখ্যাটা বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ব্যাপারটি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে এলেই চুক্তিটি সই হবে। ভারত কোনও নিষেধাজ্ঞা বা বাধা মানবে না। অন্য এক প্রসঙ্গে বলেন, “আমি সিধুর পাকিস্তান সফরের সমালোচনা করছি না। কিন্তু তিনি পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করার মতো বিতর্কিত মুহূর্তটি এড়িয়ে যেতেই পারতেন।”
[ধাওয়ানের সেঞ্চুরিই প্রাপ্তি, হতশ্রী বোলিংয়ে কষ্টার্জিত জয় ভারতের]
The post ইউপিএ আমলেও রাফালের বরাত পায়নি সরকারি সংস্থা, দাবি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.