সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ করার কথা লাদাখ (Ladakh) ও শ্রীনগরকে সংযুক্ত করা জোজি লা টানেলের কাজ। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari) জানিয়েছেন, টানেলের কাজ শেষ করার জন্য খাতায় কলমে ওই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও কেন্দ্র চাইছে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই যেন কাজটি সম্পূর্ণ করে ফেলা হয়। অর্থাৎ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগেই ওই টানেলটিকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চাইছে কেন্দ্র।
মঙ্গলবারই সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি টানেলের কাজ পরিদর্শনে আসেন। তখনই তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়ে দেন, কাজ শেষ করতে নতুন টার্গেট দেওয়া হচ্ছে নির্মাণকারী সংস্থা ‘মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’কে। তাঁর কথায়, ”যদি নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারি নিঃসন্দেহে নতুন বিশ্বরেকর্ড তৈরি হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘পাঞ্জাবে কংগ্রেসের টালবাহানায় সুবিধা পাবে ISI-পাকিস্তান’, বিস্ফোরক কপিল সিব্বল]
উল্লেখ্য, লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর থেকেই এই টানেলের কাজে গতি আনতে চাইছে কেন্দ্র। জোজি লা টানেল লাদাখের সঙ্গে শ্রীনগরকে যুক্ত করবে। এর ফলে কেবল সড়ক পরিবহনই নয়, লাদাখের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর সামরিক ও অন্যান্য সরঞ্জাম পৌঁছনোর কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা যাবে। এতদিন এই দুই এলাকার মধ্যে যোগাযোগ কেবল আকাশপথেই সীমাবদ্ধ ছিল।
জোজি লা টানেল হতে চলেছে বিশ্বের উচ্চতম ও এশিয়ার দীর্ঘতম টানেল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই টানের দৈর্ঘ্য ১৪.৫ কিমি দীর্ঘ। যা বানাতে খরচ পড়ছে ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। কেবল প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাজে আসাই নয়, এই টানেল লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ এনে দিয়ে পর্যটন শিল্পকেও বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।