সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ১২ বছরের দাম্পত্যের অবসান। স্ত্রী স্মিতা গাটের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেন ছোটপর্দার ‘কৃষ্ণ’ অভিনেতা নীতিশ ভরদ্বাজ (Nitish Bharadwaj)। নিজের ডিভোর্সের কথা জানানোর সময় নীতিশ বলেছেন, তাঁর মনে হচ্ছে শরীরের কোনও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়তো বাদ পড়েছে। এবার সেটা ছাড়াই তাঁকে বেঁচে থাকতে হবে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এবিষয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে নীতিশকে। ঠিক কী জানিয়েছেন তিনি? তাঁর কথায়, ‘‘হ্যাঁ। আমি মুম্বইয়ের পারিবারিত আদালতে ডিভোর্সের আবেদন করেছিলাম ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। কিন্তু কেন আমরা বিচ্ছেদ চাইলাম সেকথা বলতে চাই না। বিষয়টা এখন আদালত দেখছে। তবে যেটা বলতে পারি তা হল কখনও কখনও ডিভোর্স মৃত্যুর চেয়েও যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। মনে হয় যেন শরীরের কোনও অংশকে বাদ দিয়েই বেঁচে আছি।’’
[আরও পড়ুন: যোগীর পর এবার ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত অখিলেশের! নয়া ট্রেন্ড উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে]
বিয়ে সম্পর্কে নিজের মতও জানিয়েছেন নীতিশ। বলেছেন, ‘‘আমি বিয়ে নামের প্রতিষ্ঠানটায় অবশ্যই বিশ্বাস করি। কিন্তু আমি দুর্ভাগ্যবান।’’ যে কোনও কারণেই বিয়ে ভাঙুক, তাতে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় ছেলেমেয়েদর, একথাও জানিয়েছেন বি আর চোপড়ার মেগা ধারাবাহিকের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্রাভিনেতা। উল্লেখ্য, নীতিশ-স্মিতার দু’টি যমজ সন্তান রয়েছে। তারা রয়েছে তাঁর স্ত্রীর কাছেই। এটি ছিল নীতিশের দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে ১৯৯১ সালে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মণীষা প্যাটেলের। ২০০৫ সালে সেই বিয়ে ভেঙে যায়। প্রথম পক্ষে নীতিশের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নীতিশকে আপামর দেশ চেনে মহাভারত সিরিয়ালের কৃষ্ণ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। পরবর্তী সময়ে তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও করেছেন। তবে তাঁর কেরিয়ারের ‘চুম্বক’ হয়ে থেকেছে মহাভারতই। শেষবার এই অভিনেতাকে দেখা গিয়েছিল অভিষেক কাপুরের ‘কেদারনাথ’ ছবিতে।