সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতীশ কুমার রাম, নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রাবণ! বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কৃষ্ণ, প্রধানমন্ত্রী কংস! এমন পোস্টার ঘিরে শোরগোল বিহারের রাজ্য-রাজনীতিতে। পুরাণের ‘খলনায়কদের’ সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাদৃশ্য করার জন্য একদিকে যেমন রাজনৈতিক নৈতিকতা ও সৌজন্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, তেমনই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। অথচ, এই পোস্টারের পিছনে যাদের নাম উঠে আসছে, রাজ্যের ক্ষমতাসীন সেই রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অস্বীকার করেছে।
শনিবার সকাল থেকেই এই পোস্টার ঘিরে শোরগোল। বিহারের মহাগঠবন্ধন সরকারের শরিক আরজেডির নেত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু-পত্নী রাবড়ি দেবীর (Rabri Devi) বাসভবনের সামনে এই পোস্টার দেখা গিয়েছে। তাছাড়া পাটনায় দলীয় কার্যালয়ের সামনেও এমন পোস্টার দেখা গিয়েছে। বিহারের একাধিক জায়গায় এই পোস্টার দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন মহলের দাবি, মহাগঠবন্ধনের তরফে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। লেখা রয়েছে, ‘মহাগঠবন্ধন জিন্দাবাদ’ স্লোগানও। রয়েছে রাজ্যের আরজেডির সাধারণ সম্পাদক পুনম রাইয়ের ছবিও।
[আরও পড়ুন: কলকাতার ফুটপাথে আমজনতার সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ শতাব্দী-কুণালের, ব্যাখ্যা দিলেন বিতর্কেরও]
পুরো বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিজেপির (BJP) বিহারের মুখপাত্র নওলকিশোর যাদব বলেন, “নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এখন লড়াইয়ে নতুন এসেছেন। আগেই মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নবীন পট্টনায়েকরা মোদি বিরোধী মুখ হওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পরাজিত করা অসম্ভব। ২০৩৪ সাল পর্যন্ত তিনিই ক্ষমতায় থাকবেন।” এদিকে, আরজেডির পক্ষ থেকে যদিও এই পোস্টারগুলির বিষয়ে দল ওয়াকিবহাল নয় বলেই দাবি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: গ্রামে গ্রামে জনসংযোগ ‘দিদির দূত’ জুন-লাভলির, অভিযোগ শুনে দিলেন সমাধানের আশ্বাস]
এদিন আরজেডির (RJD) জাতীয় মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলেন, “আমরা জানি না এই পোস্টার কে বা কারা তৈরি করেছে। তবে এটা ঠিক, ২০২৪ সালে দেশ থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার প্রক্রিয়া বিহার থেকেই শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলি সকলেই একত্রিতভাবে লড়ছে। যারা গরিব, যুব এবং অসহায়দের পাশে থাকে না, তাঁদের গদিচ্যুত করাই লক্ষ্য। নীতীশ কুমার এই মহাজোটের নেতৃত্ব দিতে পারেন। প্রত্যেক বিহারীই তা মন থেকে চান।”