সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) অপমান করেছিলেন সদ্যপ্রয়াত রামবিলাস পাসওয়ানকে (Ram Vilas Paswan)। এমনই অভিযোগ তাঁর পুত্র লোক জনশক্তি পার্টি তথা এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসওয়ানের (Chirag Paswan)। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে লেখা এক চিঠিতে এই দাবি করেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে তিনি ওই চিঠি পাঠিয়েছিলেন নাড্ডাকে। যা গত ৮ অক্টোবর প্রকাশ করেছে এলজেপি। ওই চিঠিতে চিরাগ আরও দাবি করেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি জোটের অনেক সদস্যই অসন্তুষ্ট। যার প্রভাব পড়তে পারে এবারের নির্বাচনেও। এনডিএ হেরে গেলে এটা একটা বড় কারণ হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও মনে করছেন চিরাগ।
গত ৮ অক্টোবর প্রয়াত হন এলজেপির প্রতিষ্ঠাতা রামবিলাস পাসোয়ান। চিরাগের অভিযোগ, তাঁকে অপমান করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের সামনেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল রামবিলাস পাসওয়ানকে একটি আসন দেওয়া হবে রাজ্যসভায়। কিন্তু পরে এই আসনের বণ্টনের ব্যাপারেই তাঁর বাবাকে অপমান করেন নীতীশ। তাঁর দাবি, শীর্ষস্থানীয় এনডিএ নেতাদের জনতাকে দেওয়া আশ্বাস সত্ত্বেও রাজ্যসভার আসনটিকে কেন্দ্র করে ওই আচরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রামবিলাস নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করতে গেলে তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ চিরাগের।
[আরও পড়ুন: বিষে বিষে বিষক্ষয়! ক্রনিক ব্যথা ভোলাতে ‘পেন কিলার’ হয়ে উঠছে করোনাই]
এছাড়াও প্রবীণ রামবিলাস অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে প্রধানমন্ত্রী-সহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা ঘনঘন তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেও নীতীশ কুমার একবারের জন্যও কোনও খোঁজ নেননি বলে অভিযোগ চিরাগের। তিনি চিঠিতে আরও দাবি করেছেন, বিজেপির বহু নেতা নীতীশের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট। একদিকে রাজ্যে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, তেমনই নীতীশ কুমারের জনপ্রিয়তা কমছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এসপ্তাহের গোড়াতেই এলজেপি জানিয়ে দিয়েছিল, নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ)-এর সঙ্গে আদর্শগত বিভেদ থাকার কারণে তারা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ থেকে সরে যাচ্ছে। তবে চিরাগ স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি বিহারে বিজেপি শাসিত সরকারের পক্ষে। প্রসঙ্গত, রামবিলাসের প্রয়াণের পরে এনডিএ সরকারে বিজেপির জোটসঙ্গীদের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন আরপিআই দলের রামদাস আটাওয়ালে। তবে তিনি সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী। তাই বিজেপির জোটসঙ্গী দলের কোনও প্রতিনিধি এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নেই।