সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অঙ্কের হিসেবে নবমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। দুদিন আগেও ‘শত্রু’ ছিল যে বিজেপি, তাদের সঙ্গী করেই পাটলিপুত্রের সিংহাসনে বসলেন জেডিইউ (JDU) প্রধান। বুঝিয়ে দিলেন ক্ষমতার রাজনীতিতে চিরকালীন শত্রু-মিত্র বলে কিছু হয় না। ফলে বার বার জোট বদলেছেন। বিজেপির (BJP) হাত ছেড়েছেন, আবার ধরেছেনও। মাঝে ধরেছিলেন অতীতের প্রধান প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD)-এর হাত। রবিবার চতুর্থবার বিজেপির হাত ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হলেন নীতীশ। শপথ অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন গেরুয়া দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।
রাজ্যপালের কাছে সকালে গিয়েছিলেন ইস্তফা দিতে। বিকেলে সেই রাজ্যপালই আবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ালেন নীতীশ কুমারকে। এই সময়ের মধ্যে বদল হল জোটসঙ্গী। আরজেডি ও কংগ্রেসের জোট ছেড়ে বিকেলে বিজেপির সমর্থনে নবমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হলেন নীতীশ কুমার। লোকসভা ভোটের আগে নীতীশের এই ভোলবদল তথা রঙবদলকে ‘গিরগিটি’র সঙ্গে তুলনা করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে আরও একবার এনডিএ জোট সঙ্গী হওয়ায় স্বাগত জানাচ্ছে বিজেপি। যদিও বাংলার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ নীতীশকে কটাক্ষ করে জল্পনা উসকে দিলেন।
[আরও পড়ুন: লোকসভার জন্য কোমর বাঁধছে বিজেপি, আসরে ২১ কুশীলবের ‘টিম মোদি’]
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) বলেন, “নীতিশ কুমার গিরগিটির মতো রঙ বদলান। পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বিহারে ঢুকবে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। তার আগে দৃষ্টি ঘোরাবার জন্যই বিজেপির এই কৌশল।” আরও বলেন, “বিহারের মানুষ এই তঞ্চকতার জবাব দেবে।” মল্লিকার্জুন খাড়গে তোপ দাগেন, “দেশে এরকম অনেক নেতা আছেন, যাঁরা আয়া রাম, গয়া রাম।” যদিও দিলীপের বক্তব্য, দিলীপ ঘোষ বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন। মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, “নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হতে চলেছে তা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই।”
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী হিন্দুদের দিয়ে দিন, সমীক্ষা রিপোর্ট পেতেই মুসলিম পক্ষের কাছে দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের]
এর মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে নীতীশের একটি ভিডিও। যেখানে তিনি বলেন, “মরে গেলেও বিজেপির সঙ্গে থাকব না।” যদিও জীবিত অবস্থায় এবং সুস্থ শরীরেই জোট বদলে গেরুয়া শিবিরের সমর্থনে নবমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। যার জেরে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যত আশঙ্কা দেখা দিল। এইসঙ্গে মসৃন হল বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদির দিল্লির মসনদে ফেরার পথ।