সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ তুলল বিজেপি। অহিন্দু মন্ত্রীকে নিয়ে গয়ার বিষ্ণুপদ মন্দিরে গিয়েছিলেন নীতীশ। কিন্তু প্রায় একশো বছর ধরে ওই মন্দিরে অহিন্দু ব্যক্তিদের প্রবেশাধিকার নেই। সেই কথা জেনেও অহিন্দু মন্ত্রীকে নিয়ে মন্দিরে গিয়েছেন নীতীশ, এই অভিযোগ তুলে বিজেপি দাবি করেছে, ক্ষমা চাইতে হবে নীতীশকে।
মঙ্গলবার গয়ার বিষ্ণুপদ মন্দিরে যান নীতীশ কুমার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিহারের (Bihar Temple) তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মহম্মদ ইসরাইল মানসুরি। মন্দিরের গর্ভগৃহেও প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা। দলীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে মন্দিরে পুজো দেন নীতীশ। সেই সময়েও উপস্থিত ছিলেন মানসুরি। সেই ঘটনা ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয় নীতীশের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: বিলকিসের ধর্ষকদের সাজা মকুবের বিরোধিতায় তৃণমূল, সুপ্রিম কোর্টে মামলা মহুয়া মৈত্রের]
বিষ্ণুপদ মন্দিরের প্রবেশপথেই লেখা রয়েছে, “অহিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ”। প্রায় একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে এই প্রথা চলে আসছে ওই মন্দিরে। সেই প্রসঙ্গ টেনে বিহারের বিজেপি (BJP) প্রধান এস জয়সওয়াল বলেছেন, হিন্দুদের ব্যঙ্গ করেছেন নীতীশ। তিনি বলেছেন, “নীতীশ কুমার জানেন যে মন্দিরের গর্ভগৃহে অহিন্দুদের প্রবেশ করার অনুমতি নেই। ইচ্ছাকৃত ভাবে হিন্দুদের ব্যঙ্গ করার জন্যই এই কাজ করেছেন নীতীশ। এটা একটা চক্রান্ত। হিন্দুদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে নীতীশকে।”
মন্দিরের কর্তৃপক্ষের তরফেও নীতীশের আচরণের নিন্দা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “মানসুরিকে আমরা চিনতে পারিনি। কিন্তু যারা মন্দিরের নিয়ম জানতেন, তাঁদের সতর্ক থাকা উচিত ছিল। ইচ্ছাকৃত ভাবে এই কাজ করা হয়েছে। আগেও বহু ভিআইপি মানুষ এই মন্দিরে এসেছেন, কিন্তু কোনও মুসলিম বা ক্রিশ্চান ব্যক্তি মন্দিরের ভিতরে ঢোকেননি। যাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে এহেন কাজ করেছেন, তাঁদের ক্ষমা চাইতে হবে।” মন্দিরের তরফে আরও বলা হয়েছে, মন্দিরে অহিন্দু ব্যক্তিরা আসবেন সেটা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। প্রসঙ্গত, অহিন্দু ব্যক্তিদের জন্য মন্দির সংলগ্ন একটি জায়গা রয়েছে, সেখান থেকেই মন্দির সম্পর্কে বিশদ জানা যায়।