সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৩ ঘণ্টার বৈঠক। দীর্ঘ আলোচনা। এই নিয়ে ১৪ বার। কিন্তু তবুও গলল না বরফ। হট স্প্রিং, গোগরা ও প্যাংগং লেকের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারে রাজি নয় চিন (China)। ফলে লাদাখের (Ladakh) নিয়ন্ত্রণরেখায় বেজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টেনশন কমার সম্ভাবনাও রয়ে গেল বিশ বাঁও জলেই। তবে এটা জানা গিয়েছে, আবারও শিগগিরি হয়তো ফের আলোচনায় বসবে দু’পক্ষ।
শীতকালে হিমাঙ্কের বহু নিচে নেমে যায় পূর্ব লাদাখের তাপমাত্রা। তাই শীত নামার আগেই নিয়ন্ত্রণরেখায় শুরু হয় প্রস্তুতি। সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে বদলেছে পরিস্থিতি। ওই বছরের জুনে গালওয়ানে চিনা আগ্রাসনের পর থেকে ভারতও প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। পরবর্তী সময়ে কূটনৈতিক ও সামরিক উভয় স্তরেই চলেছে আলোচনা। কোনও কোনও অঞ্চল থেকে লালফৌজ প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও সামগ্রিক ছবিটা এখনও উদ্বেগজনকই রয়ে গিয়েছে। অতি সম্প্রতি ভুটান সীমান্তের ভিতরে চিনের তৈরি দু’টি গ্রামের সন্ধানও মিলেছে।
[আরও পড়ুন: টিকাকরণের পর নতুন করে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই, বলছে ICMR]
এই উত্তেজনার আবহেই ১৪তম বৈঠকে মিলিত হয় দুই দেশের সেনা। কিন্তু এবারের বৈঠকেও কোনও রফাসূত্রের দেখা মেলেনি। এখনই হট স্প্রিং, গোগরা ও প্যাংগং লেক থেকে সেনা সরাতে রাজি নয় বেজিং। ফলত কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিন্দ্য সেনগুপ্ত ও চিনের দক্ষিণ জিনজিয়াংয়ের চিফ মেজর জেনারেল ইয়াং লিনের মধ্যে বৈঠক শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি।
এদিকে, প্রতিবেশীদের প্রতি চিনের আচরণ যে অত্যন্ত আগ্রাসী, একথা কয়েকদিন আগেই জানিয়েছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের সংবাদমাধ্যম সচিব জেন সাকির মাধ্যমে আমেরিকার এই ধরনের বার্তাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সাকি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ভারত ও চিনের সীমান্ত সংঘর্ষের বিষয়টির দিকে কড়া নজর রেখেছে আমেরিকা। ঠিক কী বলেছেন তিনি? তাঁর কথায়, ‘‘ওই অঞ্চল ও গোটা বিশ্বের প্রতি বেজিংয়ের ব্যবহার সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত। এর ফলে অস্থিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। যেভাবে প্রতিবেশীদের আতঙ্কিত রাখার চেষ্টা করছে চিন তা আমরা নজরে রেখেছি। আমরা আমাদের অংশীদারদের পাশে রয়েছি। সীমান্ত সমস্যায় আলোচনা ও শান্তি বৈঠককে আমরা সব সময়ই সমর্থন করব।’’