shono
Advertisement

Cattle Smuggling: গরু পাচার মামলায় আর CID তদন্ত নয়, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের

রাজ্যের হলফনামা চাইল আদালত, ১৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
Posted: 09:29 PM Sep 29, 2022Updated: 08:41 AM Sep 30, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় ফের বড়সড় ধাক্কা রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির (CID)। এই সংক্রান্ত আর কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবে না সিআইডি। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে এমনই জানাল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)।  গরু পাচার মামলার সমস্ত তদন্ত চলবে সিবিআই (CBI) ও ইডির অধীনে। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশের ফলে এই মামলায় ধৃত এনামুল হক কিংবা অন্যদের আর সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না।

Advertisement

গরু পাচার মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI), এরই মধ্যে রাজ্য কেন সমান্তরাল তদন্ত করবে? এই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলায় রাজ্যের কাছে বৃহস্পতিবার হলফনামা তলব করে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। ১৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।

[আরও পড়ুন: আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলা: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তিতে তৃণমূলের ১৯ নেতা-মন্ত্রী

মামলাকারীর তরফে আইনজীবী জয়দীপ কর আদালতে জানান, একই ঘটনায় তদন্ত করছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। একই ঘটনায় সমান্তরাল তদন্ত হতে পারে না। এর সঙ্গে আন্তঃদেশীয় পাচার চক্রও জড়িত। সেখানে সিআইডি কী করবে? তাই সিআইডি-র সমান্তরাল তদন্তে স্থগিতাদেশ দিক হাই কোর্ট। তবে মামলার গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে রাজ্যের দাবি, আগে থেকেই তদন্ত করছে রাজ্য। এতদিন পরে কেন এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা? এখানে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া উচিত নয়।

[আরও পড়ুন: ভুয়ো পরিচয়ে পরপর ২৪ বিয়ে! আঠাশের যুবকের কীর্তিতে হতবাক পুলিশ]

উচ্চ আদালত জানিয়েছে, ২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানায় গরু পাচার নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় আপাতত তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থা। আদালতে সিবিআই জানায়, ২০১৮ সালেই তারা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। ২০২০ সালে FIR করে তদন্ত চালাচ্ছে। যার ভিত্তিতে তারা অনুব্রত মণ্ডল, সায়গল হোসেন-সহ একাধিক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। এনামুলের তিন ভাগ্নে – জাহাঙ্গির কবীর, হুমায়ুন কবীর ও মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে জঙ্গিপুর আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। পাশাপাশি এনামুলকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিলেন সিআইডির তদন্তকারীরা। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন হাই কোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সিআইডি আর তদন্ত করতে পারবে না। এ বিষয়ে রাজ্যকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ উচ্চ আদালতের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement