সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দাঙ্গা’ শব্দের মানে বিলকিস বানোর থেকে ভাল বোধহয় কেউ জানেন না৷ কারণ তাঁকেই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়েছে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার৷ ৩ মার্চ হঠাৎ করে ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতীরা৷ চোখের নিমেষে শেষ করে দিয়েছিল তাঁর গোটা পরিবারকে৷ ১৯ বছরের বিলকিস তখন ছিলেন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা৷ তাতেও মন গলেনি দুষ্কৃতীদের৷ সেই অবস্থাতেই তাঁকে করা হয় গণধর্ষণ৷ পুলিশের কথায়, চোখের সামনে কোল থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল তাঁর তিন বছরের কন্যা সন্তানকে৷ পাথরে থেতলে মেরে ফেলা হয়েছিল একরত্তি শিশুকে৷ শুধু তাই নয়, বিলকিসের পরিবারের ১৪ জন এবং আরও ১৭ জন গ্রামবাসীকে এভাবেই হত্যা করা হয়েছিল৷
[স্বামীকেই তিন তালাক দিতে চান এই মুসলিম মহিলা]
মামলাটি যখন বিশেষ আদালতে উঠেছিল, সাহস হারাননি বিলকিস৷ একে একে চিহ্নিত করেছিলেন ধর্ষকদের৷ অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ২০০৮ সালে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ আদালত৷ যার মধ্যে একজনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে৷ তবে অপরাধকে বিরলতম আখ্যা দিয়ে তিন জনের ফাঁসি চেয়ে উচ্চতর আদালতে আর্জি জানায় সিবিআই৷ বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় দিল বম্বে হাই কোর্ট৷ বিশেষ আদালতের রায়ই বহাল রাখল হাই কোর্ট৷ বিলকিস গণধর্ষণ কাণ্ডে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দিতে রাজি হল না বিচারপতি ভি কে তাহিলরামানি ও মৃদুলা ভাস্করের ডিভিশন বেঞ্চ৷
[কুকুরের প্রস্রাবকে কেন্দ্র করে বচসায় চলল গুলি, আহত ৪]
যশবন্ত নায়, গোবিন্দ নায় ও শৈলেশ ভাট নামে তিন সাজাপ্রাপ্তর ফাঁসির আবেদন করেছিল সিবিআই৷ তা মেনে না নিলেও গুজরাটের পাঁচ পুলিশকর্মীর বেকসুর খালাসের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আবেদন মঞ্জুর করেছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷ প্রমাণ লোপাট করে দোষীদের বাঁচানোর অভিযোগ ছিল ওই পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ যাঁদের ছাড় দিয়েছিল বিশেষ আদালত৷ স্পর্শকাতর এই মামলার জন্য এদিন আদালত চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷
[ইরানের কয়লা খনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ৩৫]
The post বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবনই বহাল রাখল আদালত appeared first on Sangbad Pratidin.