সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কে বিহারের (Bihar) নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) প্রশাসন। কোনওরকম ধরনা, হিংসাত্মক বিক্ষোভ বা পথ অবরোধে অংশ নিলে বিক্ষোভকারী বা আন্দোলনকারীদের কেউই কোনওরকম সরকারি চাকরি বা সরকারি কন্ট্রাক্ট পাবেন না। সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে বিহার পুলিশ। আর এই নিয়েই বিরোধীদের আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। টুইটে তাঁকে হিটলার এবং মুসোলিনির সঙ্গে তুলনা করেছেন তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)।
সম্প্রতি বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে গোটা দেশে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা। সমর্থন এসেছে দেশের প্রত্যেকটি অংশ থেকে। এর মধ্যেই বিহার পুলিশের DGP এসকে সিঙ্ঘালের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেউ যদি এমন কোনও বিক্ষোভে অংশ নেন, যেটি কিনা পরবর্তীতে বড় ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় পরিণত হয়েছে বা তাতে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, তাহলে ওই বিক্ষোভকারীর চরিত্রের শংসাপত্রে সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে দেবে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: দুই সেনাকর্তার মধ্যে তুঙ্গে বিবাদ, তদন্তের নির্দেশ দিলেন সেনাপ্রধান নারাভানে]
প্রসঙ্গত, বিহারে মদের লাইসেন্স, সরকারি চাকরি, বন্দুকের লাইসেন্স এবং পাসপোর্টের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হয়। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “পথ অবরোধ বা কোনও ধরনের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল যদি আইনশৃঙ্খলা ভাঙে বা বড় ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় পরিণত হয়, তাহলে তাতে যোগদানকারী প্রত্যেকের শংসাপত্রে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা উল্লেখ করে দেবেন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরা কেউ সরকারি চাকরি কিংবা মদের দোকান খোলার লাইসেন্স পাবেন না।”
তবে নীতীশ প্রশাসনের এই নির্দেশিকার পরই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে টুইট করে আরজেডি নেতা তথা বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব লেখেন, “মুসোলিনি এবং হিটলারকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন নীতীশ কুমার। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-ধরনা দেখিয়ে আপনি নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাইলে আপনি চাকরি পাবেন না। অর্থাৎ চাকরিও দেবে না আবার বিক্ষোভ প্রদর্শনও করতে দেবে না। বেচারা ৪০ সিটের মুখ্যমন্ত্রী কত ভয় পাবেন?”