সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তারকাপুত্র বলে এনসিবির কাছে কোনও ছাড় পেলেন না শাহরুখের ছেলে (Shah Rukh Khan) আরিয়ান খান (Aryan Khan)। হেফাজতে অন্যান্য অভিযুক্তদের মতোই তাঁকে রাখা হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রেই স্পেশাল ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন না তিনি। জানা গিয়েছে, হেফাজতে এনসিবির মেসে তৈরি খাবারই খাচ্ছেন আরিয়ান। বাড়ি থেকে খাবার আনার অনুমতি এখনও মেলেনি। তাই অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে মেসের সাধারণ খাবারই খেতে হচ্ছে বলিউডের বাদশাপুত্রকে।
মাদকচক্রে জড়িত থাকার সন্দেহে শনিবার রাতে এনসিবি আটক করে আরিয়ান খানকে। জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কাগজের থালায় স্থানীয় এক রেস্তরাঁয় তৈরি লুচি, তরকারি এবং বিরিয়ানিও খেতে দেওয়া হয়েছিল আরিয়ানকে।
৭ অক্টোবর পর্যন্ত নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হেফাজতে থাকতে হবে শাহরুখপুত্রকে। আরিয়ানের দুই সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দিয়েছে মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেড কোর্ট।
[আরও পড়ুন: বলিউডের পর্দায় বিদ্যুৎ জামওয়াল-রুক্মিণী মৈত্র জুটি, মুক্তি পেল ‘সনক’ ছবির ট্রেলার]
শনিবার গভীর রাতে কর্ডেলিয়া নামের বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরিয়ান ও তাঁর সঙ্গীদের। শোনা গিয়েছে, এনসিবি’র (NCB) জেরায় প্রথমে যদিও মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেননি আরিয়ান। পরে জেরার মুখে ভেঙে পড়েন তিনি। আরিয়ান জানান, চার বছর ধরে মাদক নিচ্ছেন। দুবাই, লন্ডনে গিয়েও মাদক নিয়েছেন তিনি। এনসিবি আধিকারিকরা আরিয়ানের লেন্সের কৌটো থেকে মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে। এই ঘটনায় ধৃত মুনমুন ধামেচার স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং অন্তর্বাস থেকে প্রচুর পরিমাণ মাদক পেয়েছেন।
শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭, ৮সি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সোমবার আদালতে তোলার আগে ধৃত তিনজনের মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়। ঘটনার পর থেকেই দ্বিধাবিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া। এক পক্ষ শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) সমালোচনা করেছে, অন্য পক্ষ বলিউড বাদশার পাশে দাঁড়িয়েছে।
আরিয়ানের গ্রেপ্তারির খবর পেয়েই মাঝরাতে মন্নতে পৌঁছে গিয়েছিলেন সলমন খান (Salman Khan)। এদিকে শুটিংয়ের জন্য নাকি স্পেনে যাওয়ার কথা ছিল শাহরুখের। কিন্তু আচমকা ছেলের গ্রেপ্তারিতে সে পরিকল্পনা বাতিল করেছেন শাহরুখ। রবিবার আরিয়ানের ১ দিনের NCB হেফাজতের খবরে অনেকেই মনে করেছিলেন, সোমবার জামিন পেয়েই যাবেন কিং খানের ছেলে। কিন্তু তা হল না। আরও কয়েকটা দিন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হেফাজতে থাকতে হবে আরিয়ানকে।