সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ধর্মীয় পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। টুইট করে একথাই জানান কেন্দ্রীয় অর্থসচিব রাজীব কুমার। তিনি জানান, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার এবং KYC’তে কাউকে ধর্মীয় পরিচয় দিতে হবে না। শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীদের অ্যাকাউন্ট আলাদা করতেই ধর্মীয় পরিচয় নেওয়া হবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব রটেছে। তবে কোনও গুজবে কান দেবেন না।
সাধারণত ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় কেওয়াইসি বা নো ইওর কাস্টমার ফর্ম জমা দিতে হয় গ্রাহকদের। সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়ায় ওই KYC ফর্মের মাধ্যমে এবার থেকে গ্রাহকদের ব্যাংকে ধর্মীয় পরিচয় জানাতে হবে। রিজার্ভ ব্যাংকের ফেমা আইন পরিবর্তনের ফলে এই নয়া নিয়ম কার্যকরা করার সম্ভাবনাও জোরাল হয়েছিল। ওই আইনে বদলের জেরে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে আসা মুসলিম ছাড়াও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশে এনআরও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এছাড়া প্রয়োজনে তাঁরা কিনতে পারবেন সম্পত্তি। অনেকেই এই আইনকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) মতো মনে করেছিল। কারণ, ২০১৮ সালের এই আইনে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি এবং খ্রিস্টান যাঁরা ভিসা নিয়ে এদেশে রয়েছেন তাঁদের বসবাসের জন্য সম্পত্তি ক্রয় এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলায় বৈধতা দেয়। কিন্তু নাস্তিক ও মুসলিম অভিবাসীরা এই আইনের আওতায় পড়বেন না। এছাড়া মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও তিব্বত থেকে আসা শরণার্থীরাও এই আইনের বাইরে। তাই গুজব ছড়াচ্ছিল যে এবার থেকে হয়তো সমস্ত গ্রাহককেই তাঁদের KYC ফর্মে উল্লেখ করতে হবে ধর্মীয় পরিচয়।
[আরও পড়ুন: জঙ্গি হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে CAA’র সমর্থনে আজ দিল্লির রামলীলায় জনসভা মোদির]
যদিও জল্পনায় জল ঢাললেন অর্থমন্ত্রকের সচিব রাজীব কুমার। টুইট তকে শনিবার তিনি জানিয়ে দেন ধর্মীয় পরিচয় দেওয়ার কথা গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতদিন নো ইওর কাস্টমার বা কেওয়াইসি ফর্মে যা উল্লেখ করতে হত, তাই করতে হবে। অতিরিক্ত কোনও প্রমাণপত্রের প্রয়োজনীয়তা নেই। কোনও গুজবে কান দেবেন না।
The post ব্যাংকের KYC ফর্মে উল্লেখ করতে হবে ধর্মীয় পরিচয়! গুঞ্জন নিয়ে কী বলছে অর্থমন্ত্রক? appeared first on Sangbad Pratidin.