সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ দশক পর নন্দীগ্রামে থাকছে না কোনও বাম প্রার্থী। জোটের স্বার্থে এই কেন্দ্রটি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল বাম শরিক সিপিআই। ফলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেস জোটের হয়ে লড়বেন আব্বাস সিদ্দিকির দলের প্রার্থী।
বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে হওয়া আসন রফা অনুযায়ী, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রটি থেকে লড়াই করার কথা ছিল বাম শরিক সিপিআইয়ের (CPI)। কিন্তু আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে আসনরফা নিয়ে আলোচনা শুরুর পর সিপিআইকে নিজেদের ভাগ থেকে একটি আসন ছাড়ার প্রস্তাব দেয় সিপিএম। বড় শরিকের চাপে শেষপর্যন্ত নন্দীগ্রাম আসনটিই আব্বাসের দলকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম শরিক দল।
[আরও পড়ুন: রাকেশ সিংয়ের বাড়িতে বিশাল পুলিশ বাহিনী, তদন্তে ‘বাধা’ বিজেপি নেতার ছেলের]
এদিকে, সিপিআই যখন একথা সরকারিভাবে জানাল সেদিনও জোট নিয়ে বাম এবং কংগ্রেসের (Congress) উপর চাপ সৃষ্টি করতে ছাড়ল না। দাবিমতো বামেরা আসন ছেড়ে দিলেও নারাজ কংগ্রেস। জট কাটাতে চলছে দফায় দফায় বৈঠক। কংগ্রেস আসন না ছাড়লে তিনিও যে মাথানত করবেন না তা মঙ্গলবার স্পষ্ট করে দিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। দাবিমতো আসন না ছাড়লে কংগ্রেসের সব আসনে আইএসএফ (ISF) প্রার্থী দেবে বলে মঙ্গলবার ধর্মতলার এক সভা থেকে জানান তিনি। ব্রিগেডের সভাতেও তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত করেননি ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
[আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে SSC প্রার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশের বাধায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি]
প্রথমে বাম ও কংগ্রেস। পরে বাম- কংগ্রেস এবং আইএসএফ। মোট ১০ দফা বৈঠক হলেও জোট সম্পূর্ণ হলনা। ইন্ডিয়ান সেকূলার ফ্রন্টের সঙ্গে বামেদের আসনরফা চূড়ান্ত। কিন্তু কংগ্রেস কয়েকটি আসন নিয়ে বেঁকে বসায় থমকে রয়েছে জোটপ্রক্রিয়া। মূলত প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) আপত্তিতে আসনরফা সম্পূর্ণ হচ্ছে না। কংগ্রেস তাদের দাবি না মানলে জোট থেকে সরে আসবেন বলে এদিন ধর্মতলার এক সভা থেকে হুমকি দিয়েছেন ভাইজান। তবে তাঁর দলের চেয়ারম্যান নৌশদ সিদ্দিকি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।