সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর উপত্যকায় আতঙ্কের আর এক নাম লস্কর-ই-তৈবা। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনটির হাতে বহুবার রক্তাক্ত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। কিন্তু এবার ‘আতঙ্কিত’ স্বয়ং লস্কর। সংগঠনের সদস্যরা এতটাই ভয় পেয়েছে যে কমান্ডার পদে বসতে চাইছে না কেউই। এমনটাই জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি এস পি বেদ।
[পাঞ্জাব সীমান্তে বানচাল অনুপ্রবেশের ছক, খতম ২ জঙ্গি]
সোমবার, কাশ্মীরের ডাল লেক-এ তিন দিনের ‘ওয়াটার স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল’-এর উদ্বোধন করেন ডিজিপি বেদ। সেখানেই লস্কর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। প্রশ্ন করা হয় উপত্যকায় লস্করের প্রভাব নিয়ে। যার উত্তরে তিনি জানান, “আমাদের কাছে খবর রয়েছে কাশ্মীরে লস্করের কমান্ডার পদ এখন খালি। তবে সেই আসনে বসতে রাজি নয় কোনও জঙ্গিনেতা।” এদিন তিনি জনগণের উদ্দেশ্যেও আরজি রাখেন। সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করে উপত্যকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে সকলের সাহায্য আবেদন করেন তিনি। প্রায় ৬০ জন যুবককে সন্ত্রাসবাদের পথ থেকে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলেও জানান ডিজিপি।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন উপত্যকায় জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দিয়েছে ‘দোভাল ডকট্রাইন’। সেনা, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে জঙ্গি ডেরায় ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ অভিযানের পন্থাই বাতলে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তাঁর নির্দেশ মেনেই কাশ্মীরে অভিযান চালাচ্ছে সেনা। ‘কিল লিস্ট’ মোতাবেক একে একে খতম করা হচ্ছে লস্কর, হিজবুলের জঙ্গিনেতাদের। কয়েকদিন আগেই সেনার হাতে নিকেশ হয় অমরনাথ হামলার মূলচক্রী ও লস্কর কমান্ডার আবু ইসমাইল। তার আগে খতম হয় ইসমাইলের পূর্বসূরি আবু দুজানা। ফলে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে জঙ্গিদের মধ্যে। কমান্ডার পদে বসলেই সেনার গুলিতে প্রাণ দিতে হবে বলেই নাকি মনে করছে তারা। তাই উপত্যকায় কার্যত দিশেহারা লস্কর।
[রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের মুখোশ টেনে ছিঁড়ে ফেলল ভারত]
তবে লস্কর দিশেহারা বলে ডিজিপি এস পি বেদ দাবি করলেও, কয়েকদিন আগেই নতুন কমান্ডার নিয়োগের কথা প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছিল, কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার মনোনীত করা হয়েছে জিনাত উল ইসলামকে৷ যদিও খবরটি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
The post জানেন, কেন কাশ্মীরে লস্করের কমান্ডার হতে চাইছে না কেউ? appeared first on Sangbad Pratidin.